मिजोरम विधानसभा में विपक्षের আপত্তি সত্ত্বেও ‘মিজোরাম ভিক্ষাবৃত্তি নিষেধ বিল, ২০২৫’ পাশ হয়েছে। রাজ্যের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী লালরিনপুই বুধবার এই বিলটি सदनে উপস্থাপন করেন।
আইজল: মিজোরাম বিধানসভা বুধবার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং ভিক্ষাবৃত্তি নিষেধ বিল, ২০২৫ পাশ করে। এই বিলের মাধ্যমে রাজ্যে ভিক্ষা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে এবং ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন ও সহায়তারও ব্যবস্থা করা হবে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী লালরিনপুই বিলটি পেশ করার সময় বলেন যে এর উদ্দেশ্য কেবল ভিক্ষায়ে বাধা দেওয়া নয়, বরং ভিক্ষুকদের স্থায়ী জীবিকার ব্যবস্থা করা এবং তাদের নিজ নিজ স্থানে নিরাপদে ফেরত পাঠানো।
ভিক্ষুকদের জন্য ‘রিসিভিং’ কেন্দ্র স্থাপন
বিল অনুযায়ী, সরকার একটি রাজ্য-স্তরের ‘ত্রাণ বোর্ড’ গঠন করবে, যা ভিক্ষুকদের সাময়িকভাবে রাখার জন্য ‘রিসিভিং’ কেন্দ্র স্থাপন করবে। ভিক্ষুকদের প্রথমে এই কেন্দ্রগুলিতে রাখা হবে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের নিজ নিজ বাড়ি বা রাজ্যে ফেরত পাঠানো হবে। মন্ত্রী লালরিনপুই জানান যে রাজ্যে ভিক্ষুকের সংখ্যা বর্তমানে খুব কম, কিন্তু সায়রাঙ-সিহমুই রেলওয়ে স্টেশন চালু হওয়ার পর অন্য রাজ্য থেকে ভিক্ষুকদের আগমনের সম্ভাবনা বাড়বে। তিনি উল্লেখ করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩ সেপ্টেম্বর এই নতুন রেল লাইনের উদ্বোধন করবেন।
সরকারের মতে, একটি উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর মাধ্যমে রাজ্যটিকে ভিক্ষুকমুক্ত রাখা সম্ভব হবে এবং স্থানীয় নাগরিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে।
বিলের উপর विपक्षের আপত্তি
বিলটি পাশ হওয়ার আগে বিধানসভায় বিরোধী সদস্যরা এটি নিয়ে আপত্তি জানান। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (MNF)-এর নেতা লালচন্দমা রালতে সহ অনেক সদস্য বলেন যে এই বিল খ্রীষ্ট ধর্মের জন্য ক্ষতিকারক এবং রাজ্যের সামাজিক মর্যাদাকে প্রভাবিত করতে পারে। তারা আরও বলেন যে বিলটি স্থানীয় এবং অস্থানীয় ভিক্ষুকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে। এত সব সত্ত্বেও বিধানসভা দীর্ঘ আলোচনার পর বিলটি পাশ করে। আলোচনায় মোট ১৩ জন সদস্য অংশ নেন যার মধ্যে বিরোধী এবং বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
মন্ত্রী লালরিনপুই বলেন যে মিজোরামে সামাজিক কাঠামো অত্যন্ত দৃঢ় এবং চার্চ ও বেসরকারী সংস্থাগুলির অংশগ্রহণের কারণে ভিক্ষুকের সংখ্যা খুব কম। সরকারের উদ্দেশ্য ভিক্ষুকদের সরাসরি শহরাঞ্চলে বসবাস করতে বাধা দেওয়া নয়, বরং তাদের স্থায়ী কর্মসংস্থান এবং জীবিকা অর্জনের সুযোগ প্রদান করা।
তিনি জানান যে ‘ত্রাণ বোর্ড’ এবং রিসিভিং কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ভিক্ষুকরা অস্থায়ী আশ্রয় পাবে এবং নিরাপদে তাদের নিজ নিজ স্থানে ফিরে যেতে পারবে। এই প্রক্রিয়া নিরাপত্তা এবং সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি।