বিক্রম মাজিঠিয়ার কোর্টে হাজিরা দেওয়ার আগে মোহালিতে বড় গন্ডগোল। শিরোমণি আকালি দল প্রধান সুখবীর বাদল এবং বহু নেতাকে পুলিশ আটক করেছে। কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব দখলের অভিযোগ।
পাঞ্জাব সংবাদ: মোহালি কোর্টে মাজিঠিয়ার হাজিরা দেওয়ার আগে একটি বড় রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে। শিরোমণি আকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল সহ দলের বহু শীর্ষস্থানীয় নেতাকে পুলিশ আটক করেছে।
২৫ জুন ভিজিল্যান্স বিভাগ শিরোমণি আকালি দলের শীর্ষ নেতা বিক্রম সিং মাজিঠিয়াকে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। এর পরে ২৬ জুন তাকে মোহালির বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়, যেখানে আদালত মাজিঠিয়াকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠায়। মঙ্গলবার রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আজ অর্থাৎ বুধবার তাকে পুনরায় আদালতে পেশ করা হয়।
মাজিঠিয়ার হাজিরা দেওয়ার দিন আকালি দলের নেতারা মোহালি কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগেই পাঞ্জাব পুলিশ দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল সহ বহু নেতাকে আটক করে। সুখবীর বাদল মোহালির গুরুদ্বার অম্ব সাহিবের দিকে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
সুখবীর বাদলের সরাসরি কেজরিওয়ালের ওপর আক্রমণ
পুলিশ কর্তৃক আটকের পরে সুখবীর বাদল আম আদমি পার্টি এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, কেজরিওয়াল পাঞ্জাব দখল করেছেন এবং এখন শিরোমণি আকালি দল রাজ্যটিকে তাদের প্রভাব থেকে মুক্ত করবে।
বাদল অভিযোগ করেন, কেজরিওয়াল সরকার ল্যান্ড পুলিং স্কিমের মাধ্যমে পাঞ্জাবের ৪০,০০০ একর জমি দখল করতে চায়। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে, যা আম আদমি পার্টিকে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করতে কাজে লাগবে।
"দিল্লি হাতছাড়া হয়েছে, এখন কেজরিওয়ালের নজর পাঞ্জাবের দিকে"
সুখবীর সিং বাদল বলেন, কেজরিওয়ালের দল এখন কেবল পাঞ্জাবের উপর নির্ভরশীল, কারণ দিল্লিতে তাদের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, কেজরিওয়াল এবং তার দল পাঞ্জাবকে তাদের অর্থনৈতিক উৎস হিসেবে বিবেচনা করছে এবং এর কারণেই রাজ্যের সম্পদ শোষণ করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকেও নিশানা করা হয়েছে
সুখবীর বাদল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকেও নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, মান নিজেকে সম্পূর্ণরূপে কেজরিওয়ালের অধীনে ন্যস্ত করেছেন এবং রাজ্যের স্বার্থ ত্যাগ করেছেন। বাদল অভিযোগ করেন যে মান শুধুমাত্র নিজের চেয়ার বাঁচানোর জন্য কেজরিওয়ালের প্রতিটি সিদ্ধান্তে সম্মতি দেন।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পাঞ্জাবের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন এবং এখন সময় এসেছে আকালি দল এই পরিস্থিতির বিরোধিতা করবে এবং রাজ্যকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত করবে।
আকালি দলের আন্দোলন
বিক্রম মাজিঠিয়ার গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করে শিরোমণি আকালি দল রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ জোরদার করেছে। দলের নেতাদের মতে, এই পদক্ষেপটি কেবল প্রতিশোধের মনোভাব নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন যে আম আদমি পার্টি বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং সরকারি সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে। দলের কর্মীরা মোহালি কোর্ট এবং অন্যান্য অনেক স্থানে বিক্ষোভ করেছেন। যদিও পাঞ্জাব পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক ছিল এবং অনেক স্থানে ভারী নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
