রবিবার বিকেলেই আতঙ্কে কেঁপে ওঠে মুম্বইয়ের পূর্ব দহিসারের শান্তি নগর। ২৪ তলা বহুতল আবাসনের সপ্তম তলায় আগুন লেগে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক তলায়। এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ১৯ জন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে টানা তিন ঘণ্টা যুদ্ধ চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আতঙ্কে দিশেহারা বাসিন্দারা
বিকেল ৩টে নাগাদ হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। সাততলা থেকে শুরু হওয়া আগুন ক্রমে উপরের তলায় ছড়িয়ে যায়। মুহূর্তেই ধোঁয়ায় ভরে যায় সিঁড়ি ও করিডর, ফলে আটকে পড়েন বহু বাসিন্দা।
দমকলের দুঃসাহসিক অভিযান
ঘটনাস্থলে টানা লড়াই চালায় সাতটি দমকল ইঞ্জিন, সঙ্গে ছিল অতিরিক্ত রেসকিউ ভ্যান। ঘন ধোঁয়া ও প্রচণ্ড তাপের কারণে উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন আংশিক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। দমকল জানিয়েছে, মোট ৩৬ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশু রয়েছে।
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থা
আহত ১৯ জনকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্ট ও গুরুতর দগ্ধ হওয়ায় তাঁদের জীবনহানির ঝুঁকি রয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
কীভাবে আগুন লাগল?
আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট সন্দেহ করা হলেও তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন দমকলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই স্পষ্ট নয়।
শহরজুড়ে চাঞ্চল্য
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মুম্বই জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বহুতলে নিরাপত্তা মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম কাজ করছিল না বলে অভিযোগ।মুম্বইয়ের এই বহুতল অগ্নিকাণ্ড ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল শহুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা দুর্বল। একদিকে দমকল বাহিনীর সাহসী পদক্ষেপ প্রাণ বাঁচাল বহু মানুষকে, অন্যদিকে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঠেকাতে প্রশাসনের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ল।
মুম্বইয়ের পূর্ব দহিসারের শান্তি নগরের ২৪ তলা আবাসনে রবিবার বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারালেন এক মহিলা। আহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন, যাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাতটি দমকল ইঞ্জিন ও বিশেষ উদ্ধার দল ঘণ্টার পর ঘণ্টা লড়াই করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।