প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে এনডিএ বিহার বন্ধের ডাক দেয়। সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। একাধিক জেলায় পথ অবরোধ ও বাজার বন্ধ ছিল।
বিহার বন্ধ: বিহারের রাজনীতিতে বৃহস্পতিবারের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে এনডিএ-র মহিলা মোর্চা বিহার বন্ধের ডাক দেয়। এই বন্ধের নেতৃত্ব দেন বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি (আর), হাম এবং আরএলওএমও-র মহিলা নেত্রীরা। তাঁদের মতে, মা সর্বদাই ঈশ্বরের সমতুল্য এবং তাঁদের সম্মানে আঘাত কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
বন্ধের সময়সীমা ও ব্যবস্থাপনা
এনডিএ স্পষ্ট করে জানায় যে বিহার বন্ধ সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পালিত হবে। এই সময় জরুরি পরিষেবা ও রেল পরিষেবা বন্ধের আওতার বাইরে রাখা হয়, যাতে সাধারণ মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়।
মহিলা নেত্রীদের ভূমিকা
বিহারের রাজনীতিতে সম্ভবত এটাই প্রথম দেখা গেল যে এনডিএ-র মহিলা নেত্রীরা রাস্তায় নেমে এই বন্ধকে সফল করার দায়িত্ব নিলেন।
এই বন্ধের নেতৃত্ব দেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ধর্মশীলা গুপ্তা, জেডিইউ মহিলা মোর্চার ভারতী মেহতা, এলজেপি (আর)-এর শোভা সিনহা, আরএলওএমও-র স্মৃতি কুশওয়াহা এবং হাম মহিলা प्रकोष्ठের স্মিতা শর্মা।
মহিলাদের অভিযোগ
এনডিএ-র মহিলা নেতাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে করা মন্তব্য গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের অপমান। তাঁরা বলেন, মা ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি। একজন মা ৯ মাস গর্ভে ধারণ করেন এবং লালন-পালন করেন। এমন পরিস্থিতিতে কোনো রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে মায়ের জন্য অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করা নিন্দনীয়।
দারভাঙ্গা থেকে শুরু হয়ে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষোভ
দারভাঙ্গার এই ঘটনা গোটা রাজ্যে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে দেয়। এনডিএ-র মতে, এই ঘটনা কেবল বিহার নয়, গোটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। মহাজোটের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ক্ষমা না চাওয়ায় এনডিএ-র ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পায়।
বেগুসরাইয়ে এনএইচ ৩১ অবরোধ
বেগুসরাইয়ে বন্ধের প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। বলিয়া স্টেশন চৌকে এনএইচ ৩১ অবরোধ করেন এনডিএ কর্মীরা। ঘটনাস্থলে সিও রবি কুমার তাঁর দল নিয়ে উপস্থিত ছিলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন।
জামুইয়ে পথ অবরোধ
জামুইয়েও কর্মীরা কাছেরি চৌকে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই সময় কর্মীরা 'মোদীজির মায়ের অপমান সহ্য করব না' এই ধরনের স্লোগান দেন।
ক্রীড়া মন্ত্রী ও বিধায়করা রাস্তায় নামেন
বন্ধকে সফল করতে বহু প্রথম সারির নেতা রাস্তায় নামেন। বেগুসরাইয়ে ক্রীড়া মন্ত্রী সুরেন্দ্র মেহতা, জেডিইউ বিধায়ক রাজকুমার সিং এবং বিজেপি জেলা সভাপতি সহ কর্মীরা রাস্তায় নেমে 'হর হর মহাদেব' স্লোগান দেন।
সীতারামপুরে মহিলাদের বিক্ষোভ
সীতারামপুরে বন্ধ চলাকালীন এনডিএ মহিলা নেত্রীরা শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই সময় তাঁরা মহাজোটের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান এবং বলেন যে মহিলাদের সম্মান নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে, জনগণ তাদের জবাব দেবে।
নওয়াদা ও বাঙ্কাতেও প্রভাব দেখা যায়
নওয়াদার প্রজাতন্ত্র চৌকে এনডিএ কর্মীরা পথ অবরোধ করে বন্ধ পালন করেন। অন্যদিকে বাঙ্কাতে বিজেপি বিধায়ক রামনারায়ণ মন্ডল কর্মীদের সঙ্গে মিলে বন্ধে অংশ নেন।
বেতিয়াতে ৮০% দোকান বন্ধ
বেতিয়াতে বন্ধের ব্যাপক প্রভাব দেখা যায়। শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাট জনশূন্য ছিল এবং জাতীয় সড়কে যানবাহনের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
হাজিপুর-মুजफ्फरপুর এনএইচ ২২ অবরোধ
হাজিপুরে এনডিএ কর্মীরা এনএইচ ২২ এবং অন্যান্য রাস্তায় অবরোধ করেন। হাজিপুর শহর, মহনার রোড এবং একাধিক प्रखंडে সকাল থেকেই কর্মীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিয়ে পথ অবরোধ করেন।
সীতারামপুরে দোকান বন্ধ রাখার আবেদন
সীতারামপুরে বিধায়ক ডঃ মিথিলেশ কুমার কারগিল চৌকে ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার আবেদন জানান। এই সময় তাঁর সঙ্গে কর্মীরাও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
আরাতে বিজেপি কর্মীরা মঠিয়া মোড়ের কাছে পথ অবরোধ করে जोरदार স্লোগান দিতে দেখা যায়। এখানে কর্মীরা 'রাহুল গান্ধী ক্ষমা চাও' এবং 'রাহুল-তেজস্বী মুর্দাবাদ' এই ধরনের স্লোগান দেন। सहार-এও सहार-আরওয়াল সেতু অবরোধ করা হয়।