নেপালের कपिलवस्तु জেল থেকে ৪৫৯ জন বন্দী পলায়ন করেছে। ভারত-নেপাল সীমান্তে SSB এবং পুলিশ সতর্ক রয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলে নিবিড় তল্লাশি এবং টহল বাড়ানো হয়েছে। নেপালে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
Nepal Protests: নেপালের রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে कपिलवस्तु জেলা কারাগার থেকে ৪৫৯ জন বন্দী পলায়ন করেছে। এই ঘটনা নেপালের নিরাপত্তা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্দীদের পলায়ন করার পর ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এসএসবি (Sashastra Seema Bal) সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে। প্রতিটি আসা-যাওয়া ব্যক্তির নিবিড় তল্লাশি করা হচ্ছে। পুলিশ এবং এসএসবি কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার জন্য কর্মীদের সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
ভারত-নেপাল সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সিকটি বিধানসভা এলাকা থেকে আমবাড়ি এবং সোনমনি গুদাম পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির তল্লাশি নেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের তল্লাশি করছেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা এবং পুরুষদের তল্লাশি করছেন পুরুষ কর্মীরা। সকল গাড়ির পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে।
এসএসবি সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমান্তে শান্তি বজায় রয়েছে, তবে কর্মীরা প্রতিটি কার্যকলাপের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন।
জেল আক্রমণ এবং বন্দীদের পলায়ন
তথ্য অনুযায়ী, পলাতক বন্দীরা कपिलवस्तु জেলে হামলার পর পালিয়ে গেছে। জেলে হামলা করেছিল বিক্ষোভকারীরা। নেপালে এই মুহূর্তে দুর্নীতি এবং ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। যুব সম্প্রদায় এবং জেন-জেড-এর (Gen-Z) লোকজন এই বিক্ষোভগুলির নেতৃত্ব দিচ্ছে।
নেপাল সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কার্ফু জারি করেছে এবং রাস্তায় সেনা মোতায়েন করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে জেল থেকে বন্দীদের পলায়ন এবং বিক্ষোভকারীদের কার্যকলাপের কারণে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ।
নেপালী নাগরিকরা কী বলছেন?
নেপালী নাগরিকদের মতে, ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্দোলন এখন দুর্নীতিমুক্ত নেপাল আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। যুব সম্প্রদায় এবং সাধারণ নাগরিকরা চান যে দেশে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতি শেষ হোক। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা রাজনীতিবিদরা এখন দেশের দায়িত্ব সামলানোর যোগ্য নন এবং তাদের পদত্যাগ করা উচিত।
স্থানীয় লোকেরা বলছেন যে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী যুবকরা দেশের ভবিষ্যৎ এবং গণতন্ত্রের জন্য উদ্বিগ্ন। তারা চান সরকার তাদের সমস্যাগুলি গুরুত্ব সহকারে শুনুক এবং সংস্কার আনুক।
এসএসবি এবং পুলিশের সতর্ক ব্যবস্থা
সীমান্তে মোতায়েন এসএসবি এবং পুলিশ কর্মীদের যেকোনো জরুরি অবস্থার জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসপি অমিত রঞ্জন জানিয়েছেন যে সীমান্তবর্তী থানাগুলিতে টহল এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কর্মীরা অবিরাম টহল দিচ্ছেন এবং আসা-যাওয়া সকল ব্যক্তির তল্লাশি করছেন।
এসএসবি-র ৫২তম বাহিনী কুয়াড়ি কোম্পানির পরিদর্শক উমেশ কুমার জানিয়েছেন যে বর্তমানে সীমান্তে শান্তি বজায় রয়েছে, তবে নিরাপত্তা বাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেছেন যে প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্ত পার হতে দেওয়া হবে না।
ভারতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নেপালে বন্দীদের পলায়ন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এসএসবি এবং পুলিশ সীমান্তে সতর্কতা বাড়িয়েছে এবং প্রতিটি আসা-যাওয়া ব্যক্তির তল্লাশি করছে। কর্মকর্তারা জনসাধারণকে আবেদন করেছেন যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের তাৎক্ষণিক খবর দিন।
সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ড্রোন এবং নজরদারি ক্যামেরাও স্থাপন করা হচ্ছে। কর্মীরা এবং পুলিশ সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন এবং যেকোনো অনভিপ্রেত ঘটনা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি
নেপালে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট কয়েক মাস ধরে বাড়ছে। দুর্নীতি, সরকারের নীতি এবং ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। যুব সম্প্রদায় এবং নাগরিকরা তাদের অধিকার এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের দাবি করছেন। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কঠোর নজরদারি করছে। নেপাল সরকার অনেক এলাকায় কার্ফু জারি করেছে। প্রশাসন নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।