খান স্যার বলেছেন যে এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে ছাত্রদের স্বার্থে নেওয়া হয়েছে এবং এর ফলে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ যুবক উপকৃত হবে। তিনি টিআরই-3 পরীক্ষা নিয়ে সরকারের কাছে আরও একটি দাবি জানিয়েছেন। খান স্যারের মতে, সরকার যদি একটি সাপ্লিমেন্টারি রেজাল্টও প্রকাশ করত, তবে এটি সেই ছাত্রদের জন্য খুবই স্বস্তির বিষয় হত, যাদের এটি ছিল শেষ সুযোগ। তিনি জানান, অনেক ছাত্র আবেগপ্রবণ হয়ে তাদের সমস্যার কথা জানায় এবং তারা আশা করেছিল যে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে একটি সাপ্লিমেন্টারি রেজাল্ট পাওয়া যাবে।
খান স্যার ছাত্রদের দীর্ঘ সংগ্রামের কথা স্মরণ করে বলেন যে ছাত্ররা আট-আট মাস ধরে ধরনায় বসেছিল, গার্ডনিবাগে লাঠি খেয়েছে, কিন্তু অবশেষে সরকার তাদের কথা শুনেছে। তিনি কর্মকর্তাদের মনোভাবের সমালোচনা করে বলেন যে অনেক সময় মনে হয় যেন ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদের সময় নষ্ট করা হচ্ছে।
এসএসসি-তে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন
খান স্যার এসএসসি (কর্মচারী নির্বাচন কমিশন)-কেও আক্রমণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে কমিশনে এমন কিছু লোক বসে আছেন যারা এখন আর কোনও কাজের যোগ্য নন। তিনি বলেন যে এসএসসি যে সংস্থাকে পরীক্ষা পরিচালনার টেন্ডার দিয়েছে, সেটি আগে থেকেই ব্ল্যাকলিস্টেড ছিল, তাই এই সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে।
পুলিশের পদক্ষেপকেও তিনি অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বলেন যে শিক্ষকদের সঙ্গে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা অমানবিক ছিল। তিনি বলেন যে পুলিশের এটা মনে রাখা উচিত যে শিক্ষকরা নিজেদের জন্য নয়, বরং ছাত্রদের ভবিষ্যতের জন্য লড়ছেন।
নীতীশ সরকারের ঘোষণা
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সোমবার এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ ঘোষণা করে জানান যে বিহারে শিক্ষক নিয়োগে এখন রাজ্যের বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর জন্য শিক্ষা দফতরকে নিয়মে সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নতুন ডোমিসাইল নীতি টিআরই-4 থেকে কার্যকর হবে। এছাড়াও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে যে 2025 সালে টিআরই-4 এবং 2026 সালে টিআরই-5 এর আয়োজন করা হবে।