কেরলে নিপা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। মাল্লাপুরম সহ তিনটি জেলায় ৪২৫ জন পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। রাজ্য সরকার সচেতনতা অভিযান এবং প্রতিরোধমূলক কাজ জোরদার করেছে।
Nipah Virus: কেরলে আবারও নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)-এর প্রাদুর্ভাব উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন যে বর্তমানে মোট ৪২৫ জন পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি ২২৮ জন মাল্লাপুরম জেলা থেকে। এছাড়াও, পাল্লাক্কড় থেকে ১১০ জন এবং কোঝিকোড় থেকে ৮৭ জন পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
ফিল্ডওয়ার্ক এবং সমীক্ষা শুরু
মাল্লাপুরম জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে ফিল্ডওয়ার্ক শুরু করা হয়েছে। জেলার মাক্করাপারাম্বা, কুরুভা, কুট্টিলংগাড়ি এবং মাঙ্কাদা পঞ্চায়েতের ২০টি ওয়ার্ডে নজরদারি এবং সচেতনতা অভিযান চালানো হচ্ছে। ৬৫টি মেডিকেল টিম ইতিমধ্যে ১৬৫৫টি বাড়িতে সমীক্ষা চালিয়েছে এবং বাসিন্দাদের নিপা ভাইরাসের লক্ষণ, সতর্কতা এবং রিপোর্ট করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে।
মেডিকেল টিমের রিপোর্ট
স্বাস্থ্য টিমের নেতৃত্ব দেন ড. এনএন পামিলা। তাঁর সঙ্গে সিকে সুরেশ কুমার, এম. শাহুল হামিদ এবং ড. কিরণ রাজ সহযোগিতা করেছেন। টিম, সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা একটি রিপোর্ট মাল্লাপুরমের জেলা মেডিক্যাল অফিসার ড. রেণুকা-র কাছে জমা দিয়েছে। রিপোর্টে নজরদারি এলাকার সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং জরুরি প্রয়োজনীয় সম্পদগুলির বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আইসোলেশন এবং প্রাথমিক পদক্ষেপ
পাল্লাক্কড় জেলায় একজন ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও, ৬১ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে সম্ভাব্য সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সকলকেই সতর্ক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ এই পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকের আহ্বান করেছেন। বৈঠকে মুখ্য সচিব, এনএইচএম স্টেট মিশন ডিরেক্টর, মেডিক্যাল এডুকেশন ডিরেক্টর, জেলা কালেক্টর, পুলিশ অফিসার এবং অন্যান্য বিভাগের সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রতিরোধ, নজরদারি, চিকিৎসা এবং সম্পদ সরবরাহ সম্পর্কিত কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
নিপা ভাইরাস: একটি বিপজ্জনক সংক্রমণ
নিপা ভাইরাস একটি জুনোটিক ভাইরাস, অর্থাৎ এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এটি এনসেফ্যালাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহ) এবং শ্বাসতন্ত্রের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। গুরুতর ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। এটির প্রথম সনাক্তকরণ হয় ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ায় এবং তারপর থেকে এই ভাইরাস দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সক্রিয় রয়েছে।