ওড়িশায় ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনা: বালাসোরে বন্ধ, বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ

ওড়িশায় ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনা: বালাসোরে বন্ধ, বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ

ওড়িশার বালাসোরে ছাত্রী কর্তৃক এইচওডি-র বিরুদ্ধে যৌন শোষণের অভিযোগের জেরে আত্মদাহ। মৃত্যুর পরে বালাসোরে বন্ধ এবং বিধানসভার বাইরে তীব্র বিক্ষোভ। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করে।

ওড়িশা সংবাদ: ওড়িশার বালাসোরে এক ছাত্রী যৌন নিগ্রহের শিকার হয়ে আত্মহনন করার পরে রাজ্যজুড়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কলেজ প্রশাসনের গাফিলতির বিরুদ্ধে মানুষজন রাস্তায় নেমে এসেছে। বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করেছে। বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন।

ছাত্রীর মৃত্যুতে প্রশ্ন, রাজ্যে উত্তেজনা

ওড়িশার বালাসোর জেলার ফকির মোহন স্বায়ত্তশাসিত কলেজের এক ২০ বছর বয়সী ছাত্রীর মৃত্যু পুরো রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ছাত্রীটি কলেজের এইচওডি (বিভাগের প্রধান)-র বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের গুরুতর অভিযোগ এনেছিল। অভিযোগ, অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কলেজ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এতে হতাশ হয়ে ছাত্রীটি কলেজ চত্বরে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছিল এবং চিকিৎসার সময় তার মৃত্যু হয়।

এইমস ভুবনেশ্বরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ

ঘটনার পর ছাত্রীটিকে প্রথমে বালাসোর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১২ জুলাই এইমস ভুবনেশ্বরে রেফার করা হয়, যেখানে মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। ছাত্রীর মৃত্যুর পর পুরো রাজ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক পরিবেশও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

বালাসোর বন্ধ এবং বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ

বিজু জনতা দলের (বিজেডি) নেতৃত্বে ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বালাসোর বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় টায়ার जलाয় এবং সরকারের বিরুদ্ধে नारेबाजी করে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এবং শিক্ষামন্ত্রী সূর্যবংশী সুরজের পদত্যাগ দাবি করা হয়।

রাজধানী ভুবনেশ্বরে বিধানসভার বাইরেও তীব্র বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছিলেন। জবাবে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং জল কামান ব্যবহার করে।

ভিডিওতে দেখা গেছে তীব্র বিক্ষোভ

ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে বিক্ষোভকারীদের বিধানসভার দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। পুলিশ তাদের আটকাতে চেষ্টা করছে এবং এই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এই পরিস্থিতি রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

পুরো ঘটনাটি কী?

ছাত্রীটি তার এইচওডি-র বিরুদ্ধে লাগাতার যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিল। সে কলেজ প্রশাসন এবং অধ্যক্ষের কাছে বহুবার অভিযোগ জানায়, কিন্তু তার কথা শোনা হয়নি। অবশেষে, হতাশ হয়ে ছাত্রীটি আত্মদাহের মতো চরম পদক্ষেপ নেয়। এই ঘটনা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তা এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

Leave a comment