হাড় ক্ষয় বা অস্টিয়োপোরোসিস: বয়স বাড়লে নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা দিতে পারে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা ও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ বলছে, পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের ঝুঁকি অনেক বেশি। বিশেষত ঋতুবন্ধ বা মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি তৈরি হলে হাড় দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে। এই কারণেই মধ্যবয়সী থেকে প্রবীণ মহিলাদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসের প্রকোপ বাড়ছে।
মহিলাদের ঝুঁকি কেন বেশি?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের শরীরে হাড়ের ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে কম হয়। ঋতুবন্ধের পর ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি হলে শরীর ক্যালশিয়াম শোষণ করতে পারে না। এর ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়। এছাড়াও:
পুষ্টির অভাব
পর্যাপ্ত শরীরচর্চার অভাব
দীর্ঘস্থায়ী অসুখ
এসব কারণে মহিলাদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
পুষ্টির ঘাটতি ও জীবনযাত্রার প্রভাব
ভিটামিন-ডি ও ক্যালশিয়ামের অভাব অস্টিয়োপোরোসিসের অন্যতম বড় কারণ। নিরামিষভোজীরা অনেক সময় পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম পান না। অতিরিক্ত মদ্যপান বা ধূমপানের অভ্যাস শরীরের ক্যালশিয়াম শোষণের ক্ষমতা হ্রাস করে। এর ফলে হাড় দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রতিকার: হাড়ের যত্নে কী করবেন?
১) প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি, যোগাসন ও হালকা ব্যায়াম করুন।
২) দুধ, মাছ, ডিম, ডাল ও মৌসুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৩) ভিটামিন-ডি-এর জন্য প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে থাকুন।
৪) মদ্যপান ও ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।
অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি। চিকিৎসকদের মতে, হরমোন পরিবর্তন, ঋতুবন্ধের পর ক্যালশিয়াম শোষণ কমে যাওয়া এবং পুষ্টির ঘাটতি এই রোগের প্রধান কারণ। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য ও ভিটামিন-ডি গ্রহণের মাধ্যমে ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।