পাঞ্জাব, পাকিস্তানে বন্যার ঝুঁকি গুরুতর। ভারতের সতর্কবার্তার পর ১.৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ নিরাপদ স্থানে পৌঁছেছেন। প্রশাসন ত্রাণকার্যে নিযুক্ত। থিন এবং মাধোপুর বাঁধের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ভারী বৃষ্টি এবং নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। শতদ্রু, রবি এবং চেনাব নদীর তীরে অবস্থিত অনেক গ্রামে জল ঢোকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে প্রশাসন স্থানীয় ফৌজ এবং ত্রাণকারী দলগুলিকে প্রস্তুত রেখেছে, যাতে যে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়।
ভারতের সতর্কবার্তার পর ত্রাণকার্য
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়া সত্ত্বেও, ভারত মানবিকতার পরিচয় দিয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে। ভারতের এই সতর্কবার্তার পর পাকিস্তান ১,৫০,০০০-এর বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বন্যার সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়েছে। প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে, যেসব গ্রামে বন্যার বেশি ঝুঁকি রয়েছে, সেখানকার সমস্ত মানুষ যেন সময় থাকতে নিরাপদ স্থানে পৌঁছতে পারে।
থিন এবং মাধোপুর বাঁধের পরিস্থিতি
পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (PDMA) জানিয়েছে যে, রবি নদীর ওপর তৈরি থিন বাঁধের সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, মাধোপুর বাঁধ থেকেও জল ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্র থেকে জানা গেছে যে থিন বাঁধ প্রায় ৯৭% পর্যন্ত ভর্তি হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, তাই প্রশাসন সতর্কতা বাড়িয়েছে এবং ত্রাণকার্য দ্রুত করেছে।
আক্রান্ত এলাকায় প্রশাসনের তৎপরতা
শতদ্রু, রবি এবং চেনাব নদীর তীরে অবস্থিত গ্রামগুলি থেকে মানুষদের সরানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং ফৌজ ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে। মানুষদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ গাড়ি এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, বন্যা কবলিত এলাকায় খাবার, পানীয় জল এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
বন্যার প্রভাব
জম্মু-কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় একটানা ভারী বৃষ্টির কারণে নদীগুলিতে জল বেড়েছে। অনেক রাস্তা এবং সেতু ভেঙে গেছে, যার ফলে সাধারণ জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। বাড়িগুলিতে জল ঢোকার এবং কৃষিজ ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন সতর্ক করে জানিয়েছে যে, জলের স্তর আরও বাড়লে আরও অনেক গ্রাম থেকে মানুষদের সরানো হতে পারে।