Stomach Cancer Symptoms: পাকস্থলীর ক্যানসার একটি গুরুতর রোগ যা পেটের আস্তরণে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির মাধ্যমে ধীরে ধীরে টিউমারে পরিণত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এর লক্ষণগুলি বদহজম, গ্যাস বা হালকা ব্যথার মতো সাধারণ সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়, যা উপেক্ষা করলে বিপজ্জনক হতে পারে। ডক্টর বিনয় স্যামুয়েল গায়কোয়াড় উল্লেখ করেছেন, পেটের ক্রমাগত ব্যথা, হজমে অসুবিধা, ওজন কমা বা বমি—সবই সতর্কবার্তা।
ক্রমাগত পেটের ব্যথা ও অস্বস্তি
পাকস্থলীর ক্যানসারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো পেটে ক্রমাগত ব্যথা বা অস্বস্তি। খাবারের পর ব্যথা তীব্র হতে পারে। প্রাথমিকভাবে হালকা হলেও ক্যানসার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা স্থায়ী ও তীব্র হয়ে ওঠে। এছাড়া ক্ষুধা হ্রাস ও অপ্রত্যাশিত ওজন কমাও সতর্কতার সঙ্কেত।
বমি ও হজমের সমস্যা
বমি বা বমি বমি ভাবও সাধারণ লক্ষণ। বিশেষ করে যদি বমিতে রক্ত দেখা দেয় অথবা সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। গ্যাস্ট্রিক ব্লকেজ বা প্রদাহের কারণে হজমের সমস্যা এবং ক্ষুধা কমাও দেখা যায়।
অ্যাসিডিটি ও রক্তাক্ত মল
খাবারের পরে ভারী বোধ, অম্বল বা ক্রমাগত অ্যাসিডিটির মতো লক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। মলে রক্ত বা অস্বাভাবিক রঙ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। হিমোগ্লোবিনের অভাবের কারণে ক্লান্তি ও দুর্বলতাও লক্ষ্য করা যেতে পারে।
ঝুঁকি ও প্রতিরোধ
বয়স বাড়ার সঙ্গে পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ধূমপান, অ্যালকোহল, খারাপ খাদ্যাভ্যাসও প্রভাব ফেলে। প্রাথমিক শনাক্তকরণ, এন্ডোস্কোপি, বায়োপসি ও চিকিৎসা সময়মত শুরু করলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।
পাকস্থলীর ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা কঠিন। পেটে ক্রমাগত ব্যথা, ওজন কমা, বমি, হজমের সমস্যা ও রক্তাক্ত মল-এর মতো লক্ষণ থাকলে সতর্ক হওয়া জরুরি। সময়মত চিকিৎসা ও প্রাথমিক শনাক্তকরণ রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।