হরিয়ানার পানিপথের সেক্টর-১২-তে হ্যান্ডলুম ব্যবসায়ী ওমপ্রকাশ কাটারিয়ার বাড়িতে চুরি হয়েছে। চোরেরা ২৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং ৫৫ তোলা সোনার গয়না চুরি করে নিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
পানিপথ: হরিয়ানার পানিপথ জেলার সেক্টর-১২-তে হ্যান্ডলুম ব্যবসায়ী ওমপ্রকাশ কাটারিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। চোরেরা রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং ৫৫ তোলারও বেশি সোনার গয়না চুরি করে নিয়েছে। চুরির খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ছাদের পথ দিয়ে বাড়িতে ঢোকে চোরেরা
পুলিশের মতে, রবিবার রাতে চোরেরা বাড়ির ছাদের মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং বাড়িতে রাখা নগদ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। সকালে যখন পরিবার বাড়িতে ফিরে এসে লকার খোলে, তখন প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং ৫৫ তোলা সোনার গয়না অনুপস্থিত দেখতে পায়। ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সতীশ বৎস জানিয়েছেন যে, পরিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পানিপথের বাইরে গিয়েছিল, যার ফলে চোরেরা সুযোগ পেয়েছিল।
ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই চান্দনিবাগ থানা এবং সিআইএ-র দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, চোরেরা বাড়ির পিছনের খালি প্লটের রাস্তা ব্যবহার করে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং চুরির ঘটনা ঘটায়।
সিসিটিভি ফুটেজ ও সাক্ষীদের মাধ্যমে তদন্ত জারি
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী এবং আশেপাশের লোকজনের কাছেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ঘটনাটি পেশাদার কায়দায় ঘটানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এছাড়াও, চোরদের শনাক্তকরণ এবং দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বেশ কয়েকটি দল গঠন করেছে।
ওমপ্রকাশ কাটারিয়া জানিয়েছেন যে, বাড়িতে ফেরার পর তিনি চুরির ঘটনা জানতে পারেন এবং তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি অবিলম্বে থানায় গিয়ে চুরির রিপোর্ট দায়ের করেন। পুলিশ বর্তমানে চুরি যাওয়া নগদ টাকা এবং সোনা উদ্ধারের জন্যও পদক্ষেপ নিচ্ছে।
চুরির পর এলাকায় পুলিশি সতর্কতা বৃদ্ধি
ডিএসপি সতীশ বৎস জানিয়েছেন যে, চুরির পর এলাকায় সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে এবং টহলদারি জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের উদ্দেশ্য হল দ্রুততম সময়ে চোরদের ধরা এবং চুরি যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করা। তিনি সাধারণ নাগরিকদেরও সতর্ক থাকতে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপের তথ্য পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করেছেন।
পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত প্রতিটি দিক থেকে করছে এবং আশা করা হচ্ছে যে, কিছু দিনের মধ্যেই চোরদের গ্রেপ্তার করে ঘটনার সমাধান করা হবে। আপাতত পানিপথে এই ঘটনাটি মানুষের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।