পার্ক স্ট্রিট খুন রহস্য: বিছানার চাদর উধাও, দুই সঙ্গী এখনও অধরা

পার্ক স্ট্রিট খুন রহস্য: বিছানার চাদর উধাও, দুই সঙ্গী এখনও অধরা

Park Street Murder Update: শুক্রবার সকাল থেকে পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে রাহুল লালের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবক কলকাতার পিকনিক গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ অনুমান করছে, হত্যা সংঘটিত হয়েছিল বিছানার চাদর ব্যবহার করে। মৃতের সঙ্গে থাকা দুই সহযোগী এখনও অধরা। ২২ অক্টোবর বিকেল হোটেল বুক করা হয়েছিল মৃতের দাদার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, সম্ভবত মদের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে যুবককে অচেতন করে খুন করা হয়েছে।

খুনের স্থান ও প্রাথমিক তথ্য

শুক্রবার পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় রাহুল লালের দেহ। তিন তলার হোটেলের ৩০২ নম্বর রুমে বক্স খাটের ভিতরে লুকানো ছিল মৃতদেহ। হোটেল কর্মীরা ২৩ অক্টোবর দুপুরে নতুন অতিথি রুমে প্রবেশ করার সময় দেহের পচা গন্ধ পান।

পুলিশি তদন্ত ও প্রমাণ

প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, রাহুলকে গলায় বিছানার চাদর পেঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ লোপাটের জন্য চাদরটি সঙ্গী দ্বারা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকারীরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা এবং তারা ইতিমধ্যেই হোটেল ত্যাগ করেছে। কলকাতা পুলিশের একটি দল ইতিমধ্যেই ওড়িশায় অভিযান চালাচ্ছে।

মৃত যুবকের পরিচয় ও পূর্ব ইতিহাস

নিহত যুবকের নাম রাহুল লাল। তিনি পিকনিক গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা। মৃতের মামা জানিয়েছেন, অতীতে রাহুল ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে। হোটেলের ঘর বুক করা হয়েছিল তার দাদার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে।

হত্যার পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্টতা

তদন্তে প্রাথমিকভাবে ধরা পড়েছে, সম্ভবত মদের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে যুবককে অচেতন করে হত্যা করা হয়েছে। রাহুলের দুই সঙ্গী এখনও অধরা। পুলিশ মৃতদেহ এবং হোটেল রুম থেকে প্রাপ্ত আলামত বিশ্লেষণ করছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ

কলকাতা পুলিশ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি সংবাদ মাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশ করা হবে।

কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে যুবক রাহুল লালের রহস্যজনক মৃত্যু প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বিছানার চাদর গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখনও দুই অভিযুক্ত সঙ্গী পুলিশি জালে আটক হয়নি। তদন্ত চলতে থাকা অবস্থায় হোটেল কর্মী ও স্থানীয়রা চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছেন।

Leave a comment