ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় ‘কো-মে’-র আঘাতে ২৫ জনের প্রাণহানি, ত্রাণকাজে সরকার

ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় ‘কো-মে’-র আঘাতে ২৫ জনের প্রাণহানি, ত্রাণকাজে সরকার

ফিলিপাইনে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ‘কো-মে’-র কারণে বন্যা ও ভূমিধসে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকার ত্রাণকার্যের জন্য সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করেছে। স্কুলগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Philippines: ফিলিপাইনে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ‘কো-মে’ ভারী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, যাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘূর্ণিঝড়টি Pangasinan প্রদেশের Agno শহরে আঘাত হানে। সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। যদিও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা কিছুটা কমে যায় এবং বাতাসের গতি কমে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার থাকে।

বন্যা ও ভূমিধসে ধ্বংসলীলা

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যাতে জানমালের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের মতে, বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ হল জলে ভেসে যাওয়া, গাছ পড়ে যাওয়া, ভূমিধস এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া। এছাড়াও এখনও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের সন্ধান চলছে। যদিও কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন যে এদের মধ্যে কোনোও মৃত্যুর কারণ সরাসরি ‘কো-মে’ ঘূর্ণিঝড় নয়, বরং এর ফলে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে হয়েছে।

ত্রাণকার্যে সর্বশক্তি নিয়োগ

সরকার ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে হাজার হাজার সৈন্য, পুলিশ বাহিনী, উপকূলরক্ষী কর্মী, দমকল বিভাগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোতায়েন করেছে। এই সমস্ত দল একসঙ্গে কাজ করছে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া যায়। অনেক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং সেখানে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার ও নৌকার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

স্কুল ও কলেজে ছুটি ঘোষণা

সরকার রাজধানী ম্যানিলা সহ অনেক এলাকায় স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। উত্তর Luzon অঞ্চলের ৩৫টি প্রদেশে ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে যাতে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। আবহাওয়া বিভাগের মতে, আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টি ও প্রবল বাতাস অব্যাহত থাকতে পারে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Leave a comment