পোস্ট অফিসের কিষাণ বিকাশ পত্র: ৯ বছর ৭ মাসে আপনার টাকা দ্বিগুণ!

পোস্ট অফিসের কিষাণ বিকাশ পত্র: ৯ বছর ৭ মাসে আপনার টাকা দ্বিগুণ!

পোস্ট অফিসের কিষাণ বিকাশ পত্র (KVP) স্কিমে বিনিয়োগকারীর টাকা নিরাপদ রেখে 115 মাসে দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই স্কিমে 10 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে 20 লক্ষ টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। যেকোনো ভারতীয় নাগরিক, শিশুদের সহ, ন্যূনতম 1,000 টাকা থেকে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং এটি একটি সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত স্কিম।

Post Office scheme: পোস্ট অফিসের কিষাণ বিকাশ পত্র (KVP) স্কিম বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ এবং বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প প্রদান করে। এতে বিনিয়োগে চক্রবৃদ্ধি সুদ পাওয়া যায়, যার ফলে 115 মাসে অর্থাৎ 9 বছর 7 মাসে টাকা দ্বিগুণ হয়ে যায়। স্কিমে 1,000 টাকা থেকে শুরু করা যেতে পারে এবং যেকোনো ভারতীয় নাগরিক, শিশুদের সহ, এতে বিনিয়োগ করতে পারেন। সরকার দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে এতে কোনো ঝুঁকি নেই এবং এটি নিশ্চিত রিটার্ন প্রদান করে।

KVP স্কিম কিভাবে কাজ করে

কিষাণ বিকাশ পত্রের সবচেয়ে বিশেষত্ব হলো এর চক্রবৃদ্ধি সুদ। এর মানে হল যে প্রতি বছর আপনি যে সুদ পান, তা আপনার মূলধনের সাথে যুক্ত হয়। পরবর্তী বছরের সুদ এই বর্ধিত পরিমাণের উপর গণনা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি 10,00,000 টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে প্রথম বছরে 7.5 শতাংশ অর্থাৎ 75,000 টাকা সুদ হিসাবে পাবেন। এই পরিমাণটি আপনার মূলধনের সাথে যুক্ত হবে, যার ফলে পরবর্তী বছর সুদ ₹10,75,000 এর উপর গণনা করা হবে। এই প্রক্রিয়ার অধীনে প্রায় 115 মাসে অর্থাৎ 9 বছর 7 মাসে আপনার টাকা দ্বিগুণ হয়ে ₹20,00,000 হয়ে যাবে।

কারা বিনিয়োগকারী হতে পারেন

এই স্কিমে যেকোনো ভারতীয় নাগরিক বিনিয়োগ করতে পারেন। আপনি চাকরিজীবী হোন, ব্যবসায়ী হোন বা গৃহিণী, সবাই KVP-তে টাকা লাগাতে পারেন। এছাড়াও, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নামেও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, যদি শিশুর বয়স 10 বছর বা তার বেশি হয়। এইভাবে, এই স্কিমটি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য একটি নিরাপদ বিনিয়োগের বিকল্প হতে পারে।

কম বিনিয়োগে শুরু, বেশি লাভ

কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিমে আপনি মাত্র 1,000 টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই, যার মানে আপনি যত খুশি তত বিনিয়োগ করতে পারেন। একজন ব্যক্তি একাধিক অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন। এই সুবিধার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা তাদের সঞ্চয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ভাগ করতে পারেন এবং ঝুঁকি কমাতে পারেন।

এই স্কিমটি ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই এতে বিনিয়োগে কোনো ঝুঁকি থাকে না। বাজারের মতো উত্থান-পতন আপনার টাকাকে প্রভাবিত করে না। যারা নিরাপদ বিনিয়োগ চান এবং নিশ্চিত রিটার্নের আশা রাখেন, তাদের জন্য এটি সঠিক বিকল্প। যদিও KVP স্কিমে প্রাপ্ত সুদ আয়কর আইনের 80C ধারার অধীনে ছাড়ের সুবিধা দেয় না, তবুও এর গ্যারান্টি এবং স্থিতিশীলতা এটিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।

কেন এই স্কিম বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয়

কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিম বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘ মেয়াদে ভালো লাভ দেয়। বিনিয়োগের প্রক্রিয়া সহজ এবং যে কেউ এটি সহজেই খুলতে পারে। চক্রবৃদ্ধি সুদের সুবিধা নেওয়ার কারণে বিনিয়োগকারী প্রত্যাশিত রিটার্ন নিশ্চিতভাবে পান। এছাড়াও, সরকারি গ্যারান্টি থাকার কারণে এই স্কিমটি ঝুঁকি-মুক্ত বলে বিবেচিত হয়।

বিনিয়োগের মেয়াদ এবং রিটার্ন

KVP স্কিমে টাকা প্রায় 9 বছর 7 মাসের মেয়াদে দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই মেয়াদ বিনিয়োগকারীর জন্য যথেষ্ট দীর্ঘ যাতে তাদের টাকা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, প্রতি বছর প্রাপ্ত সুদ আপনার মূলধনের সাথে যুক্ত হতে থাকে, যার ফলে বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ক্রমাগত বাড়তে থাকে।

KVP অ্যাকাউন্ট পোস্ট অফিসের যেকোনো শাখায় সহজেই খোলা যেতে পারে। ন্যূনতম নথিপত্রের প্রয়োজন হয় এবং অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সহজ। এর ফলে এই স্কিমটি গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় অঞ্চলের বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে।

Leave a comment