মেথি ভেজানো জল: পুজোর সময় খাবার ও জীবনযাপনে অনিয়ম বেড়ে যায়। সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া, অত্যধিক মিষ্টি বা তেলযুক্ত খাবার পুষ্টি এবং হজমকে প্রভাবিত করে। এই পরিস্থিতিতে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে মেথি ভেজানো জল পান করলে হজমের সমস্যা, রক্তে শর্করার ওঠানামা এবং অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা কমানো সম্ভব। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে এবং পুজোর সময় শরীরকে হাইড্রেটেড ও শক্তিশালী রাখে।
হজম ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
মেথি ভেজানো জল হজমের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে থাকা ফাইবার অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে এবং খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটি ও গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এড়াতে খালি পেটে এই পানীয় পান করা যায়। নিয়মিত পান করলে পেটও সাফ থাকে এবং হজম স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবিটিস বা রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের জন্য মেথি ভেজানো জল খুব কার্যকর। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পুজোর দিনে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা না মানলেও এই পানীয় স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুধা কমায়
মেথি ভেজানো জল খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে এবং অহেতুক খাবারের চাহিদা কমে। এতে থাকা ফাইবার শরীরকে পরিপূর্ণ রাখে, ফলে মেদ জমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে। পুজোর আনন্দের মাঝেও স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে এটি সহায়ক।
সংক্রমণ ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
মেথি ভেজানো জলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। ফলে পুজোর সময় সংক্রমণ, সর্দি-কাশি ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমে। এটি ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে, ব্রণ কমায় এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দেয়।
পুজোর উৎসবে খাবার ও সময়ের অনিয়ম ত্বক, হজম ও ওজনকে প্রভাবিত করতে পারে। খালি পেটে মেথি ভেজানো জল পান করলে হজম ঠিক থাকে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ত্বক ও সংক্রমণ সম্পর্কিত সমস্যা এড়ানো যায়। এটি পুজোর দিনগুলোকে স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী করে তোলে।