পুজোর সময় হাঁচি-কাশি: উৎসবের মরশুমে অনেকেই হাঁচি, কাশি বা ঠান্ডার সমস্যায় ভোগেন। বাড়ি, রাস্তায় বা প্যান্ডেলে ঋতু পরিবর্তনের কারণে শীতল বাতাস, ভিজে যাওয়া বা রোদ থেকে ফিরে ঠান্ডা জল খাওয়াই সমস্যার মূল কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধ সাময়িক স্বস্তি দেয়, কিন্তু পুরোপুরি ফিট থাকতে ঘরোয়া টনিক সবচেয়ে কার্যকর। ঘরোয়া পানীয় যেমন গোলমরিচ-মধু, আদা-লেবু ও তুলসী শরীরকে দ্রুত শক্তি জোগায় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গোলমরিচ ও মধুর টনিক
গরম পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে গলা খুসখুস, নাক টানা ও হাঁচি সমস্যায় দ্রুত স্বস্তি পাওয়া যায়। গোলমরিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে কার্যকরী। দিনে ১–২ বার পান করলে উৎসবের ব্যস্ততাতেও শরীর ফিট থাকে।
আদা ও লেবুর টনিক
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সম্পন্ন আদা মিশিয়ে খেলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আধ কাপ লেবুর রস, কিছু আদা কুচি ও এক চিমট গোলমরিচ দিয়ে তৈরি এই মিশ্রণ দিনে ২–৩ বার খাওয়া যেতে পারে।
তুলসী পানীয়
তুলসী পাতা ও মধু দিয়ে তৈরি ঘরোয়া টনিক গলা ব্যথা, কাশি ও সর্দি কমাতে সহায়ক। তুলসীর অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য শরীরকে দ্রুত ফিট রাখে। পুজোর দিনগুলোতে তুলসী পান করলে ওষুধের ওপর কম নির্ভর করতে হয়।
ফলিতার & অন্যান্য টিপস
পর্যাপ্ত জল খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হালকা ব্যায়াম ও খোলা হাওয়ায় ঘুম শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে।
ঠান্ডা পানীয়, কফি বা চা অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।
পুজোর সময় ঋতু পরিবর্তন ও উৎসবের ব্যস্ততায় হাঁচি-কাশি হওয়া স্বাভাবিক। তবে ওষুধের ওপর নির্ভর না করে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে শরীর দ্রুত ফিট রাখা সম্ভব। গোলমরিচ-মধু, আদা-লেবু ও তুলসী পানীয়ের মাধ্যমে ঠান্ডা, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা কমানো যায়।