হেডফোন ও শব্দদূষণ বৃদ্ধি: ক্রমবর্ধমান শব্দদূষণ, হেডফোন ব্যবহারের অতিরিক্ত অভ্যাস এবং উৎসবের সময়ে উচ্চ শব্দের তাণ্ডব—সব মিলিয়ে মানুষের শ্রবণশক্তি ক্ষয় করছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। ইএনটি বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতার অভাবের কারণে আংশিক বধিরতাও অনেক সময় নিরাময়হীন থেকে যায়। এখনই প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি ও সঠিক পদক্ষেপ।
বিশ্বে বধিরতার ভয়াবহতা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ আংশিক বধিরতায় ভুগছেন। এর মধ্যে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ শিশু কানের স্বাভাবিক ক্ষমতা হারিয়েছে। এর ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। তবে সচেতনতার অভাবে অনেক শিশুরই সঠিক চিকিৎসা হয়নি।
হেডফোন ব্যবহারের প্রভাব
দৈনন্দিন জীবনে হেডফোন ব্যবহারের ফলে সাময়িক নয়, স্থায়ী বধিরতার ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা দু’ঘণ্টার বেশি এবং ৫০ ডেসিবলের বেশি শব্দযুক্ত হেডফোন ব্যবহারে কানের ক্ষতি হতে পারে। কাজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হলে সীমিত সময় ও কম শব্দ ক্ষমতার হেডফোন বেছে নিতে হবে।
উৎসবের শব্দ-দূষণও দায়ী
দূর্গাপুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত উচ্চ শব্দের বাজির তাণ্ডব শিশুসহ বৃদ্ধদের শ্রবণশক্তি কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বারবার কানের সংক্রমণ বা সর্দি-কাশি থাকলেও অবহেলা করা উচিত নয়। তাতেও স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
জন্মের সময়ে শ্রবণ সমস্যা ধরা পড়লে হিয়ারিং এইড বা ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। সুতরাং, কানের যেকোনো সমস্যায় অবিলম্বে ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
শহর থেকে গ্রাম—সব জায়গায় শব্দদূষণ ও হেডফোন ব্যবহারের কারণে শ্রবণশক্তি কমছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ আংশিক বধিরতায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ২৫০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে।