রাহুল গান্ধী ২০২৪-এর নির্বাচনে ভোটে কারচুপির অভিযোগ করেছেন। নির্বাচন কমিশন তাঁর কাছে প্রমাণ চেয়েছে। শশী থারুর তাঁকে সমর্থন করেছেন এবং কমিশনের কাছে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
রাহুল গান্ধী: কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সম্প্রতি একটি প্রেস কনফারেন্সে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় কর্ণাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটে কারচুপির গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে ভোটার তালিকায় অনেক ত্রুটি রয়েছে। কোথাও বাড়ির নম্বর "০" লেখা, আবার কোথাও ভোটারদের বাবার নাম ভুলভাবে লেখা হয়েছে।
রাহুল গান্ধী প্রমাণ পেশ করেছেন
রাহুল গান্ধী এই অভিযোগের সমর্থনে কিছু নথিও দেখিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি এই ভুলগুলির প্রমাণ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেবেন। তাঁর বক্তব্য ছিল যে এই ধরনের অনিয়ম গণতন্ত্রের ভিতকে দুর্বল করে এবং অবিলম্বে এর দিকে নজর দেওয়া উচিত।
নির্বাচন কমিশন হলফনামা চেয়েছে
রাহুল গান্ধীর অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশন তাঁর কাছে এই দাবির সমর্থনে হলফনামা ও নথিপত্রের ওপর স্বাক্ষরসহ প্রমাণ চেয়ে পাঠিয়েছে। কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কোনও মামলার তদন্ত তখনই সম্ভব যখন এর সঙ্গে কঠিন প্রমাণ ও যাচাইযোগ্য তথ্য দেওয়া হবে।
শশী থারুরের সমর্থন
কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ শশী থারুর রাহুল গান্ধীর অভিযোগ সমর্থন করে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাতে তারা এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। তিনি বলেছেন, এটা শুধু কোনও একটি দলের বিষয় নয়, বরং গোটা দেশের গণতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত একটি সমস্যা।
শশী থারুর বলেছেন, "এটি একটি গুরুতর প্রশ্ন, যা সব দল ও ভোটারদের স্বার্থে গুরুত্ব সহকারে সমাধান করা উচিত। আমাদের গণতন্ত্র এতটাই মূল্যবান যে, এটিকে অক্ষমতা, অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত কারচুপির দ্বারা দুর্বল করা যায় না।"
নির্বাচন কমিশনের কাছে স্বচ্ছতা দাবি
থারুর আরও বলেছেন যে নির্বাচন কমিশনের প্রতিটি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা উচিত এবং দেশের জনগণকে সব পদক্ষেপের তথ্য সময়ে সময়ে দেওয়া উচিত। তিনি কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাতে তারা এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয় এবং সব পক্ষকে আস্থায় নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে।
খাড়গেও সরব হয়েছেন
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও রাহুল গান্ধীর অভিযোগ সমর্থন করে বলেছেন যে, দেশকে এখন গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আগে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার প্রশংসা গোটা বিশ্বে হত। অন্যান্য দেশ ভারতের নির্বাচন কমিশনের থেকে প্রশিক্ষণ নিত। কিন্তু এখন কমিশন শাসক দলের প্রতিনিধির মতো আচরণ করছে বলে মনে হচ্ছে।