রাজস্থানে সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর ৩৫টি জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে, যার মধ্যে ১৩টি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
জয়পুর: রাজস্থানে সেপ্টেম্বর মাস শুরু হচ্ছে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি দিয়ে। আবহাওয়া দপ্তর সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, রাজ্যের ৩৫টি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৩টি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। अलवर, খেরথল-তিজারা, কোটপুটলি-বহেরোড় এবং ঝুনঝুনুতে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বারান, বুন্দি, জয়পুর, ঝাওয়াড়, কোটা, সিকার, চুরু, ডিডওয়ানা-কুচামন এবং নাগৌর জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসন अलवर, ঝুনঝুনু এবং টঙ্ক জেলায় স্কুল ছুটির ঘোষণা করেছে। বৃষ্টি-প্রভাবিত এলাকাগুলিতে জেলা প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দলগুলিকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
পশ্চিম রাজস্থানের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
আবহাওয়া কেন্দ্র জয়পুরের মতে, রাজ্যের পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা প্রধানত अलवर এবং ঝুনঝুনু জেলায় জারি করা হয়েছে। এখানে আগামী ২৪ ঘন্টায় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে নিচু এলাকাগুলিতে জল জমে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে।
অন্যদিকে, জয়পুর, কোটা, সিকার এবং নাগৌর সহ অনেক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিম রাজস্থানের बालोত্রা, বাডমের, বিকানের, জয়সলমের, ফালোদী, হনুমানগড় এবং গাংগারগড় জেলাগুলি বাদ দিয়ে প্রায় প্রতিটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার जमकर बरसলো মেঘ
রবিবার, ৩১ আগস্ট, মৌসুমী বায়ু সমগ্র রাজস্থানে প্রবলভাবে প্রবেশ করেছে। ঝাওয়াড় জেলার রায়পুরে ১৪০ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা সমগ্র রাজ্যে সর্বোচ্চ ছিল। জালোর জেলায় ১২৬ মিমি এবং করৌলি জেলার তোড়াবিমে ১০১ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
সিকার জেলার পাটন-এ ৯৫ মিমি, अलवर জেলার থানাগাজী-তে ৮৫ মিমি এবং করৌলি শহরে ৭২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। বিকানের, জয়সলমের, দৌসা এবং ঝুনঝুনু সহ অন্যান্য জেলাগুলিতেও ৪০ থেকে ৬৫ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। অনেক জায়গায় জল জমে এবং নিচু এলাকাগুলিতে জল প্রবেশের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
সোয়াই মাধোপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা
প্রবল বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের কারণে অনেক জেলায় দুর্ঘটনাও ঘটেছে। পালি জেলায় একটি সেতু পার হওয়ার সময় এক দম্পতি ভেসে যায়, কিন্তু সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা উভয়কে বাঁচিয়ে নেন। সোয়াই মাধোপুর জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে টিভিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই দুর্ঘটনায় একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং পরিবারের সাতজন সদস্য আহত হয়েছেন। চিতোরগড় জেলায় বজ্রপাতের কারণে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিরোহি জেলায় বন্নাস নদীতে স্নান করতে নামা পাঁচ যুবক প্রবল স্রোতে আটকে পড়ে। চারজনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হলেও, একজন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করে যে বর্ষাকালে অবহেলা মারাত্মক হতে পারে।
আগামী ৩-৪ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত রাজস্থানের বেশিরভাগ অংশে বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে কোথাও কোথাও ভারী এবং অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
নদী-নালা এবং বাঁধগুলিতে জল উপচে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায়, গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং নিচু এলাকাগুলিতে অপ্রয়োজনীয় চলাচল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জনগণকে আবহাওয়া দপ্তরের পরামর্শগুলি অনুসরণ করার এবং সুরক্ষা বিধিগুলি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।