রাজস্থানে নীল ড্রামে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার: চাঞ্চল্য

রাজস্থানে নীল ড্রামে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার: চাঞ্চল্য

রাজস্থানের খেরথাল তিজারা জেলার কিষণগড়বাসে এক যুবককে খুন করে তার মৃতদেহ একটি নীল ড্রামে রাখা হয় এবং উপরে লবণ দেওয়া হয়। মৃত ব্যক্তি উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা এবং দেড় মাস ধরে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Kishangarh Bas: খেরথাল তিজারা জেলার কিষণগড়বাসে রবিবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে উত্তর প্রদেশের হংসরাজ ওরফে সুরজকে খুন করে তার মৃতদেহ বাড়ির ছাদে রাখা একটি নীল ড্রামে ভরে উপরে লবণ দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তি প্রায় দেড় মাস ধরে ভাড়া বাড়িতে তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিল। ঘটনার খবর পেয়ে কিষণগড়বাসের ডিএসপি রাজেন্দ্র সিং নির্বাণ এবং পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মৃতদেহটি সরকারি হাসপাতালের মর্গে নিরাপদে রাখা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার গভীর তদন্ত করছে।

রাজস্থান খেরথালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

খেরথাল তিজারা জেলার কিষণগড়বাস এলাকায় এক যুবক খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ একটি বাড়ির ছাদ থেকে নীল ড্রামে ভরা এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, যার উপরে লবণ দেওয়া ছিল। দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার পর থেকে মৃতের পরিবার এবং বাড়ির মালিকের ছেলে নিখোঁজ। পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে।

এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিষণগড়বাসের ডিএসপি রাজেন্দ্র সিং নির্বাণ জানিয়েছেন যে, মৃতদেহটি সরকারি হাসপাতালের মর্গে নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং খুনের কারণ জানতে গভীর তদন্ত চলছে।

ড্রাম থেকে দুর্গন্ধ এবং স্থানীয়দের খবর

স্থানীয় লোকজন জানায় যে, নীল ড্রামটি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ আসছিল, যার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তদন্তে প্রকাশ পায় যে ড্রামের মধ্যে এক যুবকের মৃতদেহ রাখা ছিল। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পুরো কলোনিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে ভালোভাবে তল্লাশি চালিয়ে আশেপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে। ডিএসপি জানিয়েছেন যে এই খুনের গভীর তদন্ত চলছে এবং খুব শীঘ্রই পরিবার ও অন্যান্য সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে তথ্য জানানো হবে।

মৃতের পরিচয় এবং পরিবারের অবস্থা

পুলিশ মৃত যুবকের পরিচয় হংসরাজ ওরফে সুরজ হিসেবে জানতে পেরেছে। সে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা এবং প্রায় দেড় মাস ধরে কিষণগড়বাসের আদর্শ কলোনিতে তার পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকত। মৃত ব্যক্তি তার পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় ইটভাটায় মজুরির কাজ করত।

ঘটনার পর থেকে মৃতের স্ত্রী এবং তিন সন্তান—বড় ছেলে হর্ষল, মেয়ে নন্দিনী এবং ছোট ছেলে গোলু—পলাতক। পুলিশ পরিবার ও বাড়ির মালিকের ছেলের খোঁজ করছে।

খুনের কারণ এবং পুলিশের পদক্ষেপ

ডিএসপি রাজেন্দ্র সিং নির্বাণ জানিয়েছেন যে, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি খুন বলেই মনে হচ্ছে। ড্রামে লবণ দেওয়ার কারণ সম্ভবত মৃতদেহ লোপাট করার চেষ্টা। পুলিশ ঘটনার তদন্তের জন্য এনডিআরএফ এবং স্থানীয় আধিকারিকদের নিয়ে একটি দল গঠন করেছে।

পুলিশ মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তদন্তে এটাও দেখা হচ্ছে যে, এই খুনের পেছনে কোন ব্যক্তি বা কারণ দায়ী।

Leave a comment