জন্মদিনে রাজকুমার রাও: সৌরভ গাঙ্গুলীর চরিত্রে অভিনয় এবং দারিদ্র্য থেকে সাফল্যের রোমাঞ্চকর যাত্রা

জন্মদিনে রাজকুমার রাও: সৌরভ গাঙ্গুলীর চরিত্রে অভিনয় এবং দারিদ্র্য থেকে সাফল্যের রোমাঞ্চকর যাত্রা

রাজকুমার রাও তাঁর ভক্ত এবং চলচ্চিত্র তারকাদের কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়েছেন। দারিদ্র্য ও সংগ্রামের পর, তিনি বলিউডে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন, এ পর্যন্ত ৫২টি পুরস্কার জিতেছেন এবং শীঘ্রই সৌরভ গাঙ্গুলীর চরিত্রে অভিনয় করবেন।

বলিউড: রাজকুমার রাও আজ তাঁর জন্মদিন পালন করছেন। ২০২৪ সালে, তিনি বলিউডের সর্বাধিক উপার্জনকারী চলচ্চিত্রের অংশ ছিলেন এবং এখন তিনি পর্দায় সৌরভ গাঙ্গুলীর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। রাজকুমারের জীবনযাত্রা একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ, যেখানে দারিদ্র্য থেকে বলিউডের তারকা হওয়ার যাত্রা নিহিত রয়েছে।

রাজকুমার রাও গুরুগ্রামে একটি যাদব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অভিনয় এবং নৃত্যের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়, তিনি থিয়েটার এবং মহড়াগুলিতে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিদিন गुरुग्राम থেকে সাইকেলে দিল্লিতে যেতেন। এই উৎসাহ এবং কঠোর পরিশ্রম তাঁকে বলিউডে পৌঁছে দিয়েছে।

'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' তাঁর কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়

রাজকুমার রাও প্রথমে ডান্সিং রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করেছিলেন, কিন্তু তিনি সাফল্য পাননি। এরপর, তিনি সম্পূর্ণভাবে অভিনয়ের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেন। ২০১০ সালে, দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'লাভ সেক্স ઔર ધોખા' ছবিতে তাঁর আদর্শ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। এই ছবির জন্য তিনি মাত্র ₹১১,০০০ পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন, কিন্তু এটি তাঁর কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।

এরপর, রাজকুমার 'সামঝনা' শর্ট ফিল্ম এবং 'রাগিনি এমএমএস' হরর ছবিতে কাজ করেছেন। তবে, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' ছবিতে শামশেদ আলমের চরিত্র তাঁর কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে ওঠে। এই ছবিটি তাঁকে চলচ্চিত্র জগতে পরিচিতি এনে দেয় এবং তাঁর কর্মজীবনকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়।

দারুণ সব ছবি এবং ৫২টি পুরস্কার

রাজকুমার রাও এ পর্যন্ত ৬৭টির বেশি ছবিতে কাজ করেছেন এবং ৫২টি পুরস্কার জিতেছেন। তিনি ২০২৩ সালে ফিল্মফেয়ারের সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন এবং 'ট্র্যাপড' ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

এছাড়াও, তিনি ২০১৪ সালে সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে ' बरेली की बर्फी' ছবিতে সেরা সহায়ক অভিনেতার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন এবং 'কাই পো চে' ছবির জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। 'শহীদ' ছবিতে তাঁর অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছিলেন। রাজকুমার নিজে বলেছিলেন যে তাঁর জীবনে এমন একটি সময় ছিল যখন তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র ₹১৮ ছিল এবং তাঁকে বন্ধুদের কাছ থেকে ধার নিতে হয়েছিল।

সৌরভ গাঙ্গুলীর চরিত্রে অভিনয় এবং আসন্ন প্রকল্প

রাজকুমার রাও শীঘ্রই পর্দায় সৌরভ গাঙ্গুলীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। ছবির প্রচারের সময়, তিনি বলেছিলেন যে এই ছবিটি আগামী বছর মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর জন্মদিনে, তাঁর ভক্ত এবং চলচ্চিত্র তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

এই ছবির প্রস্তুতির জন্য, রাজকুমার গাঙ্গুলীর জীবনধারা এবং খেলার মনোভাব দর্শকদের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য গভীর গবেষণা এবং শারীরিক প্রশিক্ষণও শুরু করেছেন।

দারিদ্র্য থেকে তারকা হওয়ার যাত্রা

থিয়েটারের মহড়ার জন্য गुरुग्राम থেকে দিল্লিতে সাইকেল চালানো, কম বাজেটের ছবিতে সংগ্রাম করা এবং নিজের উৎসাহকে কখনো না ছাড়া - রাজকুমার রাওয়ের এই যাত্রা অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক। তাঁর কাহিনী প্রমাণ করে যে কঠোর পরিশ্রম, উৎসর্গ এবং উৎসাহের মাধ্যমে, যেকোনো ব্যক্তি কঠিন পরিস্থিতিতেও সাফল্য অর্জন করতে পারে। তাঁর 'স্ত্রী', 'বোলে চুড়িয়া', 'শ্রীকান্ত', 'কাই পো চে', 'টোস্টার' এবং 'গন্স & গুলাবজ' এর মতো ছবিগুলি দর্শকদের তাঁর প্রতিভা এবং বহুমুখী অভিনয়ের ক্ষমতার অভিজ্ঞতা দেয়।

Leave a comment