আদালতের নির্দেশে পাঁচ দিনের হেফাজতে রাকেশ সিং

আদালতের নির্দেশে পাঁচ দিনের হেফাজতে রাকেশ সিং

প্রদেশ কংগ্রেস সদর দফতরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে বুধবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। শুনানির পর বিচারক তাঁকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

জামিন নিয়ে রাকেশের বিস্ফোরক দাবি

আদালতে দাঁড়িয়ে রাকেশ বলেন, “আমার জামিন প্রয়োজন নেই।” তিনি জোর দাবি জানান, অন্তত তিনটি জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক। সেখানে নাকি পুলিশের দুর্ব্যবহারের প্রমাণ মিলবে। বিশেষ করে তাঁর ছেলে শিবম সিংয়ের সঙ্গে পুলিশের আচরণ নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

কংগ্রেস অফিস ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তারির পালা

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন বিজেপি নেতা এবং রাকেশের ছেলে শিবম সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে রাকেশ সিং অবশ্যই সহযোগিতা করবেন বলে আদালতকে আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি নেতা।

ছেলের গ্রেপ্তার ঘিরে নতুন বিতর্ক

গত ১ সেপ্টেম্বর রাকেশ সিংয়ের ছেলে শিবমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে রাকেশের গাড়ির চাবি উদ্ধার হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিবমের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাঁকে আটক করা হয়। তখন থেকেই রাকেশ ছিলেন পলাতক।

বিহারের সভা থেকে বাংলায় উত্তেজনা

রাহুল গান্ধীর ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-য় বিহারের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মা-কে নিয়ে অশালীন মন্তব্য ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। তার প্রতিবাদে বিহারজুড়ে বিজেপির বিক্ষোভ হয়, যার আঁচ এসে পৌঁছয় বাংলাতেও।

কংগ্রেস দফতরে হামলার অভিযোগ

অভিযোগ, রাকেশ সিংয়ের নেতৃত্বেই কলকাতার বিধান ভবনে কংগ্রেস সদর দফতরে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালান। ভাঙচুর করা হয় কংগ্রেসের পতাকা, এমনকি রাহুল গান্ধীর ছবিতে কালি মাখানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

থানায় অভিযোগ দায় কংগ্রেসের

এই ঘটনার পর কংগ্রেস নেতারা সরাসরি এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতেই নাম জড়ায় বিজেপি নেতা রাকেশ সিং এবং তাঁর ছেলের। পরবর্তী তদন্তে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের দু’জনকেই।

Leave a comment