বুধবার রাতেই দিঘায় এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্ট কমিটির সঙ্গে রথযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। রথযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন ও পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কাজের মাঝে নিরবচ্ছিন্ন ছুটি, সমুদ্রপাড়ে বাঁদর খাওয়ালেন দিদি
রথের প্রস্তুতির মধ্যে কাজের ফাঁকেও দেখা গেল মমতার ফুরফুরে মেজাজ। কখনও মন্দির চত্বর পরিদর্শন, আবার কখনও সমুদ্রতীরে বসে বাঁদরদের খেতে দেওয়া—সব মিলিয়ে দিঘায় যেন এক কর্মব্যস্ত ছুটির ছোঁয়া।
রথযাত্রার রুটে পায়ে হেঁটে যাচাই মুখ্যমন্ত্রীর
মন্দিরের ৭ নম্বর গেট থেকে ৩ নম্বর গেট পর্যন্ত রথযাত্রার রুটে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন হিডকো’র ভাইস চেয়ারম্যান ও একাধিক মন্ত্রী। রাস্তার প্রস্থ, রথের উচ্চতা—সব মিলিয়ে নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখেন দিদি।
মন্ত্রিসভার রথযাত্রা সফরসঙ্গী, ৫ মন্ত্রী পাশে
রথযাত্রা প্রস্তুতি পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী। প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি দেখা যায় এক গাঢ় সমন্বয়।
ওড়িশাকে ভালবাসি, কিন্তু দিঘার ধামকে অপমান নয়'
ওড়িশা সরকারের আপত্তির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানালেন পুরীর জগন্নাথ ধামকে আমি শ্রদ্ধা করি, ওড়িশাকে ভালবাসি, কিন্তু দিঘার মন্দিরও মানুষের ভক্তির প্রতীক। দুটোকে আলাদা করে দেখা অনুচিত।
আমি শাস্ত্র বুঝি না, মানুষ বুঝি—দাবিতে অটল মমতা
মমতা বলেন, “শাস্ত্র বুঝি না, মানুষ বুঝি। দিঘায় যাঁরা পুজো করছেন, তাঁরা শাস্ত্রজ্ঞ। পুরীর দৈতাপতি রাজেশজি এখানে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন। আমার নামে FIR হয়েছে, কিন্তু আমি পাল্টা করিনি—এটাই আমার মহত্ত্ব।
‘জগন্নাথ ধাম’ নাম নিয়ে ওড়িশা-মমতা সংঘাত
ওড়িশা মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির চিঠির প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মমতা। তাঁর দাবি, “দিঘার এই মন্দির মানুষের বিশ্বাসে তৈরি হয়েছে। কে কী বলছে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ‘ধাম’ বললে কারও অধিকার ক্ষুন্ন হয় না।”
প্রথম রথযাত্রায় উৎসবে মাতোয়ারা দিঘা
শুক্রবার, ২০২৫-এর রথযাত্রায় প্রথমবারের জন্য মহাধামে পরিণত হলো দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমিয়েছেন দিঘায়। ভিআইপি অতিথিদের উপস্থিতিতে শহরের পরতে পরতে উৎসবের রঙ।