স্কিনকেয়ারে নতুন ঢেউ! রাইস পেপার ফেস মাস্কে মিলুক গ্লাস-স্কিনের জেল্লা

স্কিনকেয়ারে নতুন ঢেউ! রাইস পেপার ফেস মাস্কে মিলুক গ্লাস-স্কিনের জেল্লা

ত্বকের যত্নে নতুনত্ব চাইলে রাইস পেপার ফেস মাস্ক একেবারে ট্রেন্ডিং। এটি সাশ্রয়ী, ব্যবহার সহজ এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। সাধারণ ফেসপ্যাক বা শিট মাস্কের বাইরে এই পাতলা ভোজ্য কাগজ ত্বককে গভীর আর্দ্রতা দেয়, ব্রাইট করে, তেলের ভারসাম্য রাখে এবং প্রাকৃতিক গ্লো আনে। সপ্তাহে ২–৩ বার ব্যবহার করলেই আপনি অনুভব করবেন এর কার্যকারিতা।

রাইস পেপার মাস্ক বানানোর উপায়

ভিজিয়ে নিন: রাইস পেপারকে গরম জলে কয়েক সেকেন্ড ভিজিয়ে নিন।

মুখের আকারে কেটে নিন: চোখ, নাক ও ঠোঁটের জায়গায় হালকা ছিদ্র করুন।

সিরাম বা প্যাক মিশ্রণ করুন: অ্যালোভেরা জেল, গোলাপজল, মধু, গ্রিন টি বা ভিটামিন-সি সিরাম লাগাতে পারেন।

মুখে লাগান: ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে হালকা করে মাস্ক বসান।

১৫–২০ মিনিট অপেক্ষা করুন: শুকিয়ে গেলে ধীরে ধীরে মাস্ক খুলে ফেলুন।

রাইস পেপার মাস্কের গুণাবলী

ডিপ হাইড্রেশন: শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বককে গভীরভাবে আর্দ্র রাখে।

ব্রাইটেনিং ইফেক্ট: স্কিন টোন সমান করে এবং ট্যান দূর করে।

অয়েল কন্ট্রোল: ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়, ব্রণ কমায়।

রোমকূপ টাইট করা: নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ফার্ম ও রোমকূপ ছোট হয়।

প্রাকৃতিক গ্লো: মেকআপ ছাড়াই ত্বকে হেলদি গ্লো ফুটে ওঠে।

কেমিক্যাল ফ্রি: সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়ায় কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক নেই।

ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম

সপ্তাহে ২–৩ বার ব্যবহার করুন।

মাস্ক আগে মুখ পরিষ্কার করা জরুরি।

মাস্ক খোলার পরে হালকা টোনার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

রোদে বেরনোর আগে লাগালে ত্বক সতেজ দেখাবে।

আজকাল তরুণীদের ফেভারিট স্কিনকেয়ার রুটিনে রাইস পেপার মাস্কের জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। এটি সাশ্রয়ী, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং ত্বককে নরম, উজ্জ্বল ও গ্লাসি রাখে। একবার ব্যবহার করলেই বুঝবেন কেন এটি স্কিনকেয়ারের নতুন ঢেউ।

Leave a comment