বিহারের রোহতাস জেলায় দ্রুত গতিতে আসা স্করপিও এবং অটোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যখন দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং উভয় যানবাহন জব্দ করেছে।
রোহতাস: বিহারের রোহতাস জেলার নোখা থানা এলাকায় সোমবার গভীর রাতে একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত গতিতে আসা স্করপিও এবং অটোর সংঘর্ষে মর্মান্তিকভাবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যখন দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় জনগণ এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহতদের চিকিৎসার জন্য সাসারাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহগুলি হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই দুর্ঘটনা এলাকায় সড়ক নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অটোটি সাসারাম থেকে বিক্রমগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। তখনই উল্টো দিক থেকে আসা একটি দ্রুত গতির স্করপিও অটোটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে অটোর টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
স্থানীয়দের মতে, দুর্ঘটনাটি রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ঘটে। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে স্করপিওর গতি অত্যন্ত বেশি ছিল এবং চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল। এই দুর্ঘটনা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা এবং গতি নিয়ন্ত্রণের উপর বিতর্ককে আবার তীব্র করেছে।
মৃতদের পরিচয়
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। অটো আরোহী মৃত দুজন হলেন – শ্রীকান্ত প্রসাদ এবং কিশোর পাসওয়ান, যারা বিক্রমগঞ্জের কারমাইনি খুর্দ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তৃতীয় মৃত ব্যক্তি নোখা নিবাসী প্রয়াত লালন প্রসাদের পুত্র আশীষ কুমার বলে জানা গেছে।
পরিবার ও গ্রামবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় জনগণ এবং পরিবারের সদস্যরা দুর্ঘটনার কারণে গভীর শোকে আচ্ছন্ন। পুলিশের মতে, ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহগুলি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্করপিও নিয়ে পলায়ন
দুর্ঘটনার পরপরই স্করপিওতে থাকা সকলে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। তবে, স্থানীয় জনগণ একজন যুবককে ধরে ফেলে এবং তাকে বেদম প্রহার করে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছানো পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং যুবকটিকে ভিড়ের কাছ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ উভয় যানবাহন জব্দ করেছে। পুলিশ এখন সকল সন্দেহভাজনদের শনাক্তকরণ এবং গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত চালাচ্ছে।
হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে
দুই গুরুতর আহত ব্যক্তির চিকিৎসা সাসারাম সদর হাসপাতালে চলছে। ডাক্তারদের মতে, আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে, তবে তাদের সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
পুলিশ এলাকায় টহল বাড়িয়েছে এবং সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এও নিশ্চিত করেছে যে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে যানবাহন চালক এবং সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হবে।