Nutrition Tips: পুষ্টিবিদরা বলেন, স্যালাডে শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, গাজর, ধনেপাতা, লেটুস শাক রাখতে হবে। খাবারের আগে স্যালাড খেলে ফাইবার থাকে, ফলে খাবারের পর অতিরিক্ত ক্ষুধা কমে।
কেন স্যালাড খাবার আগে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ?
খাবারের আগে স্যালাড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পায় না। ডায়াবেটিকদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, খাবারের আগে স্যালাড খেলে শরীরে ফাইবারের উপস্থিতি থেকে যায়, যা দীর্ঘ সময় ভরা থাকার অনুভূতি দেয়।ফাইবার শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে, ফলে খাদ্যের পর অতিরিক্ত ক্ষুধা হয় না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
স্যালাডে কী রাখা উচিত?
ডায়াবেটিক ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তির জন্য স্যালাডে থাকা উচিত শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, গাজর, ধনেপাতা, লেটুস শাক। এই সবজি শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং পুষ্টি নিশ্চিত করে।স্যালাডে চিনি বা অতিরিক্ত তেল মেশানো ঠিক নয়। শুধু তাজা শাকসবজি ও লেবুর রস ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যবান ও ফিট থাকা সহজ হয়।
কীভাবে স্যালাড খাওয়া উচিত?
স্যালাড খাবারের আগে খেলে সবচেয়ে ভালো। খাবারের সময় বা পরে স্যালাড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার ঝুঁকি থাকে। স্যালাডের ফাইবার খাবারের হজম ধীর করে এবং ক্ষুধা কমায়।এই নিয়ম নিয়মিত মানলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অতিরিক্ত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা হয়।
অন্যান্য উপকারিতা
নিয়মিত স্যালাড খেলে শরীরে পানি, ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ বজায় থাকে। এতে হজম শক্তি ভালো থাকে এবং সারাদিন শরীর ফিট থাকে।ডায়াবেটিক বা ওজনজনিত সমস্যা থাকা ব্যক্তিরা স্যালাডকে মূল খাবারের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলে দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যবান থাকতে পারবেন।সব মিলিয়ে, ডায়াবিটিস ও অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে স্যালাড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের আগে স্যালাড খাওয়া শরীরে ফাইবার রাখে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অতিরিক্ত ক্ষুধা কমায়।
ডায়াবিটিস ও ওজন কমাতে সঠিক সময় স্যালাড খাওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদরা বলেন, খাবারের আগে স্যালাড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং খাবারের পরে অতিরিক্ত ক্ষুধা হয় না। শাকসবজি সমৃদ্ধ স্যালাড নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যবান ও ফিট থাকা সহজ হয়।