গাছতলায় মিলল ২৫ ভোটার কার্ড, সালানপুরে তৃণমূল–বিজেপি তরজা চরমে

গাছতলায় মিলল ২৫ ভোটার কার্ড, সালানপুরে তৃণমূল–বিজেপি তরজা চরমে

ভোটার কার্ড কাণ্ড: পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ব্লকের লোহাট গ্রামে মঙ্গলবার সকালে গাছের তলায় পড়ে থাকা প্রায় ২৫টি ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে কার্ডগুলি উদ্ধার করে বিডিও অফিসে জমা দেয়। সব কার্ডেই চিত্তরঞ্জনের ঠিকানা থাকায় রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র হয়। বিজেপি দাবি করেছে কার্ডগুলি ভুয়ো এবং তৃণমূলের কারচুপির প্রমাণ, অন্যদিকে তৃণমূল অভিযোগ করেছে বিজেপি ভিনরাজ্য থেকে ভুয়ো ভোটার আনার চেষ্টা করছে।

গাছের নিচে অজস্র ভোটার কার্ড

সামডি গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাট গ্রামে কিছু পথচারী প্রথমে কার্ডগুলি দেখতে পান। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন, এগুলি ভোটার কার্ড। পুলিশকে খবর দিলে সালানপুর থানার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে জানা হবে এগুলি আসল না ভুয়ো।

কার্ডে চিত্তরঞ্জনের নাম

বিডিও অফিস সূত্রে খবর, সবকটি কার্ডেই চিত্তরঞ্জনের ২৫ ও ২৬ নম্বর বুথের ভোটারের নাম রয়েছে। কার্ডধারীরা জীবিত না মৃত, নকল না আসল ভোটার—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লোহাট গ্রাম চিত্তরঞ্জন থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, কার্ডগুলি সেখানে এল কীভাবে।

বিজেপির অভিযোগ: ভুয়ো ভোটার মজুত

সালানপুরের বিজেপি নেতা অনিমেষ মাজি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল ভুয়ো ভোটার কার্ড জমা করে রেখেছিল, অবস্থা বেগতিক বুঝে ফেলে দিয়েছে। আরেক নেতা অভিজিৎ রায় বলেন, এইসব কার্ড দিয়ে আর ভোট দেওয়া যাবে না ভেবেই হয়তো এখানে ফেলা হয়েছে।

তৃণমূলের পাল্টা দাবি

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি স্বপন মণ্ডল দাবি করেছেন, “চিত্তরঞ্জন সীমান্তবর্তী শহর। ভিনরাজ্য থেকে ভুয়ো ভোটার এনে মজুত করার জন্য বিজেপিই এই কাজ করেছে।” ব্লক সভাপতি মহম্মদ আরমানও এটিকে চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন।

বিধায়কের প্রতিক্রিয়া

বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগে চিত্তরঞ্জনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮-১৯ হাজার, এখন ১০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। তাঁর মতে, কার্ডগুলি হয়তো চিত্তরঞ্জনের কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এখানে ফেলে দিয়েছে। তবে তদন্তের পরেই পরিষ্কার হবে সত্যতা।

সালানপুরে গাছের তলায় একগুচ্ছ ভোটার কার্ড উদ্ধার হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য। প্রায় ২৫টি কার্ডে চিত্তরঞ্জনের ভোটারদের নাম থাকায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে দোষারোপ। তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে ভুয়ো ভোটার মজুত করার অভিযোগ তুলেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্তের পরই জানা যাবে কার্ডগুলির আসল পরিচয়।

Leave a comment