মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মীরাট সফরের ঠিক আগে জেলায় রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে সমাজবাদী পার্টির নেতা সম্রাট মালিককে নিয়ে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মীরাট: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মীরাটে আগমনের আগে একটি বড় রাজনৈতিক ঘটনা সামনে এসেছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা সম্রাট মালিককে পুলিশ গৃহবন্দী করেছে। এই পদক্ষেপে শুধুমাত্র স্থানীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়নি, বরং বিরোধী দলগুলো রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করার সুযোগও পেয়েছে।
পুরো ঘটনাটি কী?
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মীরাটে একটি সরকারি কর্মসূচি ছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছিল। এরই মধ্যে এসপি নেতা সম্রাট মালিককে তাঁর বাড়িতেই বন্দী করা হয়। পুলিশের বক্তব্য, তাদের কাছে খবর ছিল যে সম্রাট মালিক একটি স্মারকলিপি কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাচ্ছেন, এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে বন্দী করা জরুরি ছিল।
সম্রাট মালিকের তীব্র বক্তব্য
পুলিশের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় সম্রাট মালিক সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন:
'আমার কোনো প্রকাশ্য কর্মসূচি ছিল না। আমি কেবল আমার বিধানসভা क्षेत्र সিওয়ালখাসে তিনজন নিরীহ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাকে সেখানেও যেতে বাধা দিয়েছে।'
সম্রাট মালিক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে "দেশের সবচেয়ে দুর্বল এবং ভীত মুখ্যমন্ত্রী" বলে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন:
'এটা ক্ষমতার ভয় যে বিরোধী নেতাদের তাদের বাড়িতে বন্দী করে রাখা হচ্ছে। যদি সরকার বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে এত ভয় পায়, তবে এটি গণতন্ত্রের জন্য একটি বিপজ্জনক সংকেত।'
গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর হামলা?
এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উত্তাপ এনে দিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর বক্তব্য, এটি সরাসরি গণতান্ত্রিক অধিকারের লঙ্ঘন। মালিক বলেন, গণতন্ত্রে জনগণের মধ্যে যাওয়া, শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করা এবং আওয়াজ তোলা বিরোধীদের অধিকার। কিন্তু যদি সরকার এতে ভয় পেয়ে নেতাদের বন্দী করে, তবে এটি স্বৈরাচারের প্রতীক।
অন্যদিকে, মীরাট প্রশাসন ও পুলিশের বক্তব্য, এই পদক্ষেপ নিরাপত্তার কারণে নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগীর সফর উপলক্ষে সম্ভাব্য বিক্ষোভ বা ব্যাঘাত এড়াতে কিছু সংবেদনশীল ব্যক্তির গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছিল।