সেনসিটিভ হলে সাবধান মানসিক বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে গবেষণা

সেনসিটিভ হলে সাবধান মানসিক বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে গবেষণা

অত্যন্ত স্পর্শকাতর বা সেনসিটিভ হওয়া মনের দিক থেকে দোষের নয়। তবে গবেষণা বলছে, এদের ভবিষ্যতে উদ্বেগ এবং অবসাদের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তুলনায় বেশি। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রথমবার মেটা-অ্যানালিসিস করে বিষয়টি সামনে এনেছেন।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরকাড়া সমীক্ষা

‘The relationship between environmental sensitivity and adults: A systematic Review and Meta Analysis’ শিরোনামে প্রকাশিত এক গবেষণায় নতুন তথ্য সামনে এসেছে। তাতে উঠে এসেছে, অতিরিক্ত স্পর্শকাতর বা সেনসিটিভ ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য অন্যদের তুলনায় বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১২,৬৯৭ জন মানুষ এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, যা গবেষণাটিকে আরও প্রমাণসমৃদ্ধ করে তুলেছে।

সেনসিটিভ মানুষদের আচরণে বিশেষ পার্থক্য

গবেষণা প্রধান প্রফেসর মাইকেল প্লেজ় জানিয়েছেন, সেনসিটিভ ব্যক্তিরা যে কোনও ঘটনার সঙ্গেই গভীরভাবে একাত্ম হয়ে পড়েন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও অনুভব করার শক্তি অন্যদের থেকে আলাদা। তবে একইসঙ্গে তাঁদের ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও তুলনায় অনেক বেশি।

উদ্বেগ-অবসাদের সঙ্গে সরাসরি যোগ

গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, স্পর্শকাতর ব্যক্তিদের মানসিক সমস্যার মূল কারণ তাঁদের অনুভূতির তীব্রতা। ছোটখাটো কষ্টই তাঁদের ভেতরে গভীর মানসিক আঘাত তৈরি করতে পারে। ফলস্বরূপ, উদ্বেগ ও অবসাদ তাঁদের জীবনে বারবার ফিরে আসতে পারে।

মনোবিদদের ব্যাখ্যা

মনোবিদ দেবশীলা বসু বলেন, উদ্বেগ কিংবা অবসাদের সঙ্গে অনুভূতির যোগ রয়েছে। তবে সব মানুষ সমান সংবেদনশীল হন না। যাঁরা সামান্য আঘাতেই ভেঙে পড়েন বা সামান্য খুশিতেই অতি আবেগে ভেসে যান, তাঁদের পক্ষে আবেগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে।

চিকিৎসা নেই, কিন্তু সমাধান আছে

দেবশীলা বসুর মতে, সেনসিটিভ হওয়ার আলাদা কোনও চিকিৎসা নেই। তবে বিহেভিয়ারাল রেগুলেশন থেরাপির মাধ্যমে একজন স্পর্শকাতর মানুষকে তাঁর চারপাশের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করা যায়। এতে ধীরে ধীরে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

 

 

Leave a comment