২০২৫ সালে রুপোর অভূতপূর্ব উত্থান: বিনিয়োগকারীদের জন্য সোনার চেয়েও বেশি লাভ

২০২৫ সালে রুপোর অভূতপূর্ব উত্থান: বিনিয়োগকারীদের জন্য সোনার চেয়েও বেশি লাভ

২০২৫ সালে রুপো বিনিয়োগকারীদের দারুণ রিটার্ন দিয়েছে, এখন পর্যন্ত দাম ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক মাসেই রুপোর দাম ১০% বেড়েছে। এই তেজিভাবে हिंदुस्तान জিংক, বেদান্তার মতো খনি সংস্থা এবং জুয়েলারি রপ্তানিকারকদের লাভ হয়েছে। সিলভার ইটিএফ-এও বিনিয়োগকারীরা উৎসাহী এবং ফেডারেল রিজার্ভের নীতি রুপোর চাহিদাকে সমর্থন করছে।

রুপোর রিটার্ন: ২০২৫ সালে রুপো বিনিয়োগকারীদের সোনার চেয়ে ভালো রিটার্ন দিয়েছে। এখন পর্যন্ত রুপোর দাম ৪০% পর্যন্ত বেড়েছে, যেখানে গত এক মাসে এটি ১০% বেড়েছে। এই তেজিভাবে हिंदुस्तान জিংক এবং বেদান্তার মতো খনি সংস্থাগুলির শেয়ারে উত্থান দেখা গেছে। জুয়েলারি রপ্তানিকারক সংস্থাগুলিও লাভবান হয়েছে। অন্যদিকে, সিলভার ইটিএফ-এ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে এবং নিপ্পন ইন্ডিয়ার এইউএম (AUM) ১০,০০০ কোটি টাকার সীমা অতিক্রম করেছে। ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য সুদের হার কমানোও রুপোর চাহিদাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

সোনা ও রুপোর রিটার্নের পার্থক্য

২০২৫ সালের শুরুতে সোনার দাম প্রতি আউন্স ৩,৫০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারপর এতে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা যায়নি। অন্যদিকে, রুপো ক্রমাগত তেজিভাবে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় রিটার্ন দিয়েছে। ২০১১ সালের পর এই প্রথম রুপোর দাম প্রতি আউন্স ৪০ ডলার ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বছর রুপো বিনিয়োগকারীদের সোনার চেয়ে বেশি লাভ দিয়েছে।

হিন্দুস্তান জিংক এবং বেদান্তা লাভবান

রুপোর দামের এই তেজিভাবে ভারতীয় খনি সংস্থাগুলির শেয়ারেও প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে हिंदुस्तान জিংক এবং বেদান্তার শেয়ারে তেজিভাব দেখা গেছে। हिंदुस्तान জিংকের শেয়ার ১ ও ২ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে ৩.৯ শতাংশ এবং ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ হয়েছে। বেদান্তার শেয়ারেও ভালো প্রত্যাবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।

হিন্দুস্তান জিংক বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম রুপো উৎপাদনকারী সংস্থা। FY25-এ এটি প্রায় ৬৮৭ মেট্রিক টন রুপো উৎপাদন করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ১,৫০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সংস্থাটির বিশ্বাস, রুপোর চাহিদা ও দাম আগামী সময়ে শক্তিশালী থাকবে।

শুধু খনি সংস্থাই নয়, গোল্ডিয়াম ইন্টারন্যাশনাল-এর মতো জুয়েলারি রপ্তানিকারক সংস্থাগুলিও রুপোর দাম থেকে লাভবান হয়েছে। টাকার দুর্বলতা এবং রপ্তানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা এই সংস্থাগুলিকে ভালো মুনাফা দিচ্ছে।

সিলভার ইটিএফ-এ বিনিয়োগের উত্থান

২০২৫ সালে সিলভার ইটিএফ-এ বিনিয়োগের এক অসাধারণ প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। নিপ্পন ইন্ডিয়ার সিলভার ইটিএফ-এর অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট (AUM) এখন ১০,০০০ কোটি টাকার সীমা অতিক্রম করেছে। এই তথ্যগুলি ইঙ্গিত দেয় যে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা এখন শুধু গোল্ড ইটিএফ-এই সীমাবদ্ধ নেই, তারা দীর্ঘ মেয়াদে রুপোতেও বিনিয়োগ করছেন।

আগস্ট ২০২৫-এ টানা সপ্তম মাসে সিলভার ইটিএফ-এর এইউএম (AUM) বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ২০২০ সালের পর দীর্ঘতম বৃদ্ধির সময়কাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এবং রুপোর শক্তিশালী দাম এই খাতটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

ফেডারেল রিজার্ভ নীতির প্রভাব

রুপোর দামের তেজিভাবে একটি বড় কারণ হল আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা। যখন সুদের হার কমে, তখন বুলিয়ন মার্কেট অর্থাৎ সোনা ও রুপোর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি আরও আকর্ষণীয় রিটার্ন নিয়ে আসে। এর ফলস্বরূপ, বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা রুপোকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী মাসগুলিতেও রুপোর রিটার্ন বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় থাকতে পারে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নীতির প্রভাব রুপোর দামের উপর ক্রমাগত দেখা যাচ্ছে।

Leave a comment