মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি আগামী বছর ভারত সফর করতে পারেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শক্তি এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা ক্রমাগত জোরদার হচ্ছে।
ভারত-মার্কিন সম্পর্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি আগামী বছর ভারত সফর করতে পারেন। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথোপকথনের সময় ট্রাম্প বলেছেন যে ভারতের সাথে তার আলোচনা ভালো চলছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে তাকে ‘গ্রেট ম্যান’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে মোদীর সাথে তার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ।
ভারতের সাথে বাণিজ্য
ট্রাম্প জানিয়েছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেছেন যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য এবং শক্তি আলোচনা খুব ভালোভাবে চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী চান তিনি ভারত আসুন এবং এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প বলেছেন, “আমি যাব। আমি ভারতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে একটি চমৎকার সফর করেছিলাম। তিনি একজন মহান ব্যক্তি।” যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি আগামী বছর ভারত আসবেন কিনা, ট্রাম্প উত্তর দিয়েছেন, “হ্যাঁ, হতে পারে।”
কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে ভারত

ভারত আগামী বছর কোয়াড (Quad) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। এই সম্মেলনে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের নেতারাও অংশ নেবেন। গত বছর ২০২৪ সালের সম্মেলন আমেরিকার ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে, ভারতে সম্মেলনের তারিখগুলি এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এই সম্মেলনকে ঘিরে আশা করা হচ্ছে যে এতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হবে।
ভারত-পাকিস্তান বিতর্কে ট্রাম্পের দাবি
সাংবাদিকদের সাথে কথোপকথনে ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন যে তিনি মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, “আমি আটটি যুদ্ধ শেষ করিয়েছি, যার মধ্যে পাঁচ বা ছয়টি শুল্ক (ট্যারিফ) এর মাধ্যমে। যদি আপনি ভারত ও পাকিস্তানকে দেখেন, তাহলে তারা লড়াই শুরু করছিল। তারা উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং একে অপরের উপর গুলি চালাচ্ছিল।”
ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিলেন যে যদি তারা লড়াই চালিয়ে যায়, তাহলে আমেরিকা তাদের উপর শুল্ক আরোপ করবে। তিনি দাবি করেছেন যে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামানো হয়েছিল। ট্রাম্প শুল্ককে “জাতীয় প্রতিরক্ষার একটি বড় মাধ্যম” হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং এটিকে বৈশ্বিক সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করার একটি কার্যকর উপায় বলেছেন।
ভারতের প্রতি ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি
ট্রাম্প বহুবার ভারতের প্রতি তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে তার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং উভয় দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে নিয়মিত আলোচনা করছে। তিনি শক্তি, নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য খাতে মার্কিন-ভারত সহযোগিতাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।













