নয়াদিল্লি: জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগের পর দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটাল এনডিএ। রবিবার বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের পর মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণকে উপরাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণার মাধ্যমে রাজনীতির মহলে হঠাৎই চমক সৃষ্টি হয়েছে।
জেপি নাড্ডার ঘোষণার প্রসঙ্গ
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ও রাজ্যসভার দলনেতা জেপি নাড্ডা জানান, সিপি রাধাকৃষ্ণণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে চাইছে দল। নাড্ডা আরও বলেন, “আমরা বিরোধীদের সঙ্গেও আলোচনা করব। সকলের সমর্থন নিশ্চিত করতে চাই যাতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ৬ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী এবং জেপি নাড্ডাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এনডিএর পক্ষ থেকে নতুন প্রার্থী বাছাই করার। দীর্ঘ জল্পনার পর এই ঘোষণা রাজনৈতিক মহলে স্বস্তির সৃজন করেছে।
সিপি রাধাকৃষ্ণণের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
সিপি রাধাকৃষ্ণণ বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে দাঁড় করিয়েছে। তাঁর দায়িত্বশীলতার কারণে এনডিএর নেতা ও সমর্থকরা মনে করছেন, তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন।
বিরোধী দল এবং সমর্থনের বিষয়
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, সমস্ত এনডিএ সহযোগী দলও সিপি রাধাকৃষ্ণণের প্রার্থীতা সমর্থন করেছে। নাড্ডা বলেন, “বিরোধীদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আমরা চাই সকল পক্ষের সমর্থন থাকুক, যাতে নির্বাচন নির্বিঘ্নে হয়।” এই বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে এনডিএ আগেভাগেই উপ-রাষ্ট্রপতির পদে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। বিরোধী দলও যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ না পায়, সেই লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়া সিপি রাধাকৃষ্ণণের প্রশাসনিক দক্ষতা ও সুপরিচিত চরিত্র নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস যোগাচ্ছে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ
এবারের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন নিশ্চিত করতে চাইছে এনডিএ। এর ফলে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে। সিপি রাধাকৃষ্ণণ যদি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, তাহলে তার প্রশাসনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সমাপ্তি ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধী দল থেকে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া এসেছে। তবে এনডিএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমর্থন পাওয়া গেলে এই প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। দেশের সাংবিধানিক ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।