অযোধ্যায় মহন্ত রাজু দাসের সাথে দেখা: সপা থেকে অপসারিত জাতীয় সম্পাদক মুসকান মিশ্রা

অযোধ্যায় মহন্ত রাজু দাসের সাথে দেখা: সপা থেকে অপসারিত জাতীয় সম্পাদক মুসকান মিশ্রা

সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সম্পাদক মুসকান মিশ্রাকে তাঁর সাম্প্রতিক অযোধ্যা সফর এবং মহন্ত রাজু দাসের সাথে দেখা করার পর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্টি এই পদক্ষেপ নিয়েছে, যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সক্রিয়তা আলোচনার বিষয় হয়ে আছে।

লখনউ: সমাজবাদী পার্টি তাদের জাতীয় সম্পাদক মুসকান মিশ্রাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এই পদক্ষেপ তাঁর সাম্প্রতিক অযোধ্যা সফর এবং মহন্ত রাজু দাসের সাথে দেখা করার পর নেওয়া হয়েছে। মুসকান রবিবার অযোধ্যার হনুমানগড়িতে মহন্ত রাজু দাসের সাথে দেখা করেছিলেন, যার পর দলের হাইকমান্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। দলের মহিলা সভার জাতীয় সভাপতি জুহি সিং মুসকান মিশ্রাকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ জারি করেছেন। দলীয় সূত্র অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত সংগঠনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নেতাদের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে।

মহন্ত রাজু দাসের সাথে দেখা করায় সপা আপত্তি জানিয়েছে

মহন্ত রাজু দাস মহাকুম্ভের সময় সপা প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিংয়ের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্যের কারণে দল আগে থেকেই অসন্তুষ্ট ছিল। অযোধ্যায় মুসকান মিশ্রার তাঁর সাথে দেখা করাকে সপা একটি শৃঙ্খলাহীন পদক্ষেপ বলে মনে করেছে।

দলীয় নেতাদের বক্তব্য যে, কোনো নেতার বাইরের লোকের সাথে দেখা করা বা বিতর্কিত ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক রাখা সংগঠনের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তাই মুসকান মিশ্রাকে পদ থেকে অপসারণকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

মুসকান মিশ্রার সোশ্যাল মিডিয়া সক্রিয়তা

মুসকান মিশ্রা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় এবং তাঁর ইনস্টাগ্রামে প্রায় সাত লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে। তিনি দলের প্রচার-প্রসারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আসছেন।

পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর, এটা দেখা আকর্ষণীয় হবে যে মুসকান মিশ্রা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে চালিয়ে যান এবং দলের সাথে তাঁর ভবিষ্যৎ কী হবে।

সপা-তে মুসকান মিশ্রার ক্রমবর্ধমান পরিচিতি

মুসকান মিশ্রাকে সম্প্রতি সপা-তে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি দলের হাইকমান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, তিনি মহিলা সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন এবং জাতীয় সভাপতি অখিলেশ যাদবের নীতি ও ভাবনাগুলিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবেন।

লখনউয়ের উদীয়মান নেত্রী হিসেবে দলের মধ্যে তাঁর নাম দ্রুত উঠে আসে। তাঁর নিয়োগকে মহিলা সংগঠনের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, কিন্তু মহন্ত রাজু দাসের সাথে দেখা করার পর তাঁর পদ স্থায়িত্ব বেশিদিন টিকল না।

Leave a comment