শ্রীদেবী ও শ্রীলতা—দুই বোনই ছিলেন সৌন্দর্যে ও ব্যক্তিত্বে সমান আকর্ষণীয়। অভিনেত্রী শ্রীদেবীর বোন শ্রীলতা সম্পর্ক ভাঙন: একসময় দিদির ম্যানেজার হিসেবে কাজ করলেও পরে তাঁদের সম্পর্কে আসে গভীর ফাটল। ১৯৯৬ সালে মায়ের মৃত্যুর পর হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা এবং সেই টাকার বণ্টন নিয়েই তৈরি হয় বড় দ্বন্দ্ব, যা চিরকালীন দূরত্বে পরিণত হয়।

একই রকম সৌন্দর্য, ভিন্ন ভাগ্যের দুই বোন
শ্রীদেবীর মতোই শ্রীলতা ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী ও প্রাণবন্ত। ছোটবেলা থেকেই দিদির মতো নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অভিনয় জগতে প্রবেশের সুযোগ পেলেও শ্রীলতা বড় পর্দায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি।

দিদির ছায়ায় থেকেও আলো পাননি শ্রীলতা
শ্রীলতা বহু বছর ধরে দিদি শ্রীদেবীর ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন—১৯৭২ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত প্রায় দুই দশক। সর্বত্র দিদির সঙ্গে থেকেছেন, কিন্তু তাঁকে প্রায়ই ‘শ্রীদেবীর ছায়া’ হিসেবেই দেখা হত। তবুও, দিদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, যতক্ষণ না পরিবারে আসে এক ভয়াবহ পরিবর্তন।
মায়ের মৃত্যুর পর সম্পর্কের ভাঙন
১৯৯৬ সালে শ্রীদেবীর মা মারা যান। অভিনেত্রী হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মামলা করেন এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে পান ৭ কোটি টাকা। অভিযোগ, সেই অর্থের ভাগ পাননি শ্রীলতা। এখান থেকেই শুরু হয় দুই বোনের মধ্যে দূরত্ব ও মনোমালিন্য।

আইনি লড়াই ও সম্পত্তি বিতর্ক
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্রীলতা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত পান ২ কোটি টাকা। কিন্তু এই অর্থনৈতিক বিরোধই দুই বোনের মধ্যে স্থায়ী দূরত্ব তৈরি করে। ডেকান ক্রনিকল-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়, শ্রীদেবী যুক্তি দিয়েছিলেন—সব সম্পত্তি তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফসল, যা নাবালিকা বয়সে বাবামায়ের নামে রাখা হয়েছিল।
সম্পর্কের বন্ধন আর জোড়া লাগেনি
আইনি নিষ্পত্তি হলেও মানসিক দূরত্ব আর কমেনি। দিদির মৃত্যুর পরও শ্রীলতা সংবাদমাধ্যমে খুব কমই কথা বলেছেন। শ্রীদেবী ও শ্রীলতার এই অজানা অধ্যায় এখনো বলিউডের পারিবারিক সম্পর্কের এক তিক্ত বাস্তবতা হিসেবে স্মরণীয়।

দক্ষিণ ও বলিউডের কিংবদন্তি নায়িকা শ্রীদেবীর বোন শ্রীলতা-ও চেয়েছিলেন দিদির মতো নায়িকা হতে। কিন্তু ভাগ্য তাঁর সহায় হয়নি। মায়ের মৃত্যুর পর সম্পত্তি নিয়ে দুই বোনের সম্পর্কে দেখা দেয় তিক্ততা, যা কখনও পূরণ হয়নি।













