এসএসকেএম হাসপাতাল, কলকাতা: সময় বুধবার রাত, অভিযোগ এক নাবালিকা রোগীকে শৌচাগারে যৌন হেনস্থা। এনআরএস হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী অমিত মল্লিক। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে ভুলিয়ে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের টয়লেটে নিয়ে যায়। সেখানে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ধাপা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এসএসকেএম হাসপাতালের ভিতরে চাঞ্চল্যকর যৌন হেনস্থার অভিযোগ
রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ নাবালিকা রোগীর উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ১৫ বছর বয়সী এক নাবালিকা পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালে আসে। OPD টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেয়। মেয়েটিকে বলে, লাইনে দাঁড়াতে হবে না, সে ব্যবস্থা করে দেবে।

নিজেকে ‘ডাক্তার’ পরিচয় দিয়ে ভুলিয়ে নিয়ে যায় অভিযুক্ত
নাবালিকার পরিবারের দাবি, ওয়ার্ড বয়ের পোশাকে আসা অভিযুক্ত অমিত মল্লিক ওই দিন ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দিকে নিয়ে যায় মেয়েটিকে। সেখানে একটি শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে সে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। পরে ভুক্তভোগী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরিবারের পক্ষ থেকে তৎক্ষণাৎ ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে অভিযুক্ত, ধাপা থেকে গ্রেফতার
অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে ভবানীপুর থানার পুলিশ। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের পরিচয় জানা যায়। ধৃতের নাম অমিত মল্লিক। তিনি এনআরএস মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী কর্মী, তবে আগে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে গ্রুপ-ডি কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার ধাপা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এসএসকেএমে প্রবেশের অনুমতি কীভাবে পেলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কীভাবে অভিযুক্ত এসএসকেএম-এর ভিতরে প্রবেশ করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আগেও তিনি হাসপাতালের কর্মীদের পরিচয়ে এখানে যাতায়াত করতেন। পুরো ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে এক নাবালিকা রোগীকে শৌচাগারে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত এনআরএস হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী অমিত মল্লিককে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। ঘটনাটি বুধবার রাতে ঘটে বলে জানা গেছে।












