কলকাতা বিমানবন্দর আটক: ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদীর কলকাতা সফরের দিন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে বিমানবন্দরে প্রথম ব্যারিকেডেই আটকানো হয়। লোকসভার সচিবালয় ঘটনার কারণ জানতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। মজুমদার অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে আটকানো হয়েছে।
বিমানবন্দরে ঘটনার বিবরণ
১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদীর কলকাতা সফরের সময় সুকান্ত মজুমদারের গাড়িকে প্রথম ব্যারিকেডেই আটকানো হয়। বিমানবন্দরে উপস্থিত পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন কনস্টেবল গাড়ি আটকে রাখেন। একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়ি ৪ নম্বর ভিভিআইপি গেট দিয়ে বাধামুক্ত প্রবেশ করেছিল।সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, এভাবে ভিন্ন আচরণ করা হয়েছে এবং এতে ইচ্ছাকৃতভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।
স্বাধিকার ভঙ্গ ও মর্যাদাহানির অভিযোগ
সুকান্ত মজুমদার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, পুলিশ কর্মীরা বিমানবন্দরে আটকানোর কারণ জানতে চাইলে জানিয়েছেন, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ঐশ্বর্য সাগরের নির্দেশে তাঁকে আটকানো হয়েছে।তিনি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, এটি স্পষ্টভাবে স্বাধিকার ভঙ্গ ও লোকসভার মর্যাদা হানির ঘটনা। তিনি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন।
লোকসভার সচিবালয়ের পদক্ষেপ
মজুমদারের চিঠির প্রতিক্রিয়ায় লোকসভার সচিবালয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্য সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে।এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যের কাছে জানতে চাবে, ওইদিন বিমানবন্দরে কী ঘটেছিল এবং কেন এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতের প্রভাব ও জল্পনা
ঘটনার পর রাজ্যের পক্ষ থেকে কী জবাব দেওয়া হবে, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ভবিষ্যতে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমন্বয় বিষয়ক আলোচনার দিকে প্রভাব ফেলতে পারে।
সুকান্ত মজুমদার: প্রধানমন্ত্রী মোদীর কলকাতা সফরের দিন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে বিমানবন্দরে আটকানো হয়। লোকসভার সচিবালয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ঘটনার কারণ জানতে চেয়েছে। মজুমদার অভিযোগ করেছেন, এটি স্বাধিকার ভঙ্গ ও লোকসভার মর্যাদাহানির ঘটনা।