সুরতে শিশু অপহরণ ও হত্যা: অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, চাঞ্চল্য

সুরতে শিশু অপহরণ ও হত্যা: অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, চাঞ্চল্য

সুরত থেকে অপহৃত তিন বছরের এক নিষ্পাপ শিশুকে ট্রেনে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত বিকাশ শাহকে আমরেলি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রেনের বাথরুমের ডাস্টবিনে লাশ লুকিয়ে রেখেছিল। প্রাথমিক তদন্তে হত্যার পেছনে পারিবারিক শত্রুতা বা মানসিক অস্থিরতা থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সুরত: মহারাষ্ট্রে একটি হৃদয়বিদারক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সুরত থেকে তিন বছরের এক নিষ্পাপ শিশুকে অপহরণ করে ট্রেনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত বিকাশ শাহকে আমরেলি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুটির লাশ ট্রেনের টয়লেটের ডাস্টবিনে লুকিয়ে রেখেছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। অভিযুক্তের গতিবিধি জানতে প্রযুক্তিগত দল ও নজরদারির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে সুরাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এখন তাকে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, যাতে হত্যার পেছনের আসল কারণ এবং পুরো ঘটনাটি জানা যায়।

ট্রেনের বাথরুমে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত বিকাশ শাহ সুরতের আমরোলি এলাকা থেকে তিন বছরের একটি শিশুকে অপহরণ করে। এরপর সে শিশুটিকে মুম্বাই নিয়ে যায় এবং কুশিনগর এক্সপ্রেসের (গাড়ি নম্বর 22537) এসি কোচ B2-এর বাথরুমে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

হত্যার পর অভিযুক্ত শিশুটির লাশ টয়লেটের ডাস্টবিনে লুকিয়ে রাখে। শনিবার ভোর প্রায় ১টার দিকে যখন ট্রেনটি পরিষ্কার করা হচ্ছিল, তখন কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করে। এই ঘটনা রেলওয়ে ও স্থানীয় পুলিশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং পুরো ঘটনা সমাজকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।

পুলিশ কর্তৃক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

পুলিশ অভিযুক্তকে ধরার জন্য তার লোকেশন ট্র্যাক করে এবং প্রযুক্তিগত নজরদারি ব্যবহার করে। তদন্তে জানা যায় যে অভিযুক্ত বান্দ্রা-কুর্লা কমপ্লেক্স এলাকায় ছিল। পুলিশ তার গতিবিধির ওপর ক্রমাগত নজর রাখে এবং সুরাত পর্যন্ত তাকে অনুসরণ করে প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ানোর পর তাকে ধরে ফেলে।

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তার কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন যে এই ঘটনায় পারিবারিক শত্রুতা বা মানসিক অস্থিরতাও একটি কারণ হতে পারে, তবে এর পেছনের পুরো সত্য এখনও সামনে আসেনি।

পারিবারিক বিবাদ হত্যার কারণ?

পুলিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে হত্যার পেছনে পারিবারিক বিবাদ বা অভিযুক্তের মানসিক অস্থিরতা থাকতে পারে। বর্তমানে অভিযুক্তকে গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, যাতে পুরো ঘটনাটি জানা যায় এবং শিশুটির পরিবার ন্যায়বিচার পায়।

এই ঘটনায় গুজরাট ও মুম্বইতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মানুষ এই নৃশংস ঘটনায় ক্ষুব্ধ এবং ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস

আমরেলি পুলিশ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেলওয়ে ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই এটা স্পষ্ট হবে যে অপরাধের পেছনের আসল কারণ কী ছিল এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ रोकने के জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে যে এ ধরনের ঘটনায় শুধু পরিবার নয়, পুরো সমাজে ভয় ও असुरक्षा ছড়িয়ে পড়ে। তাই তদন্ত पूरी पारदर्शिता के साथ की जा रही है।

Leave a comment