ভারতে কোন কোন চাকরি ও আয় করমুক্ত? জেনে নিন বিস্তারিত

ভারতে কোন কোন চাকরি ও আয় করমুক্ত? জেনে নিন বিস্তারিত

ভারতে কিছু সরকারি ও বেসরকারি চাকরি, কৃষি, শিক্ষানবিশ ভাতা এবং বৃত্তি করমুক্ত। সরকারি ভাতা এবং সমাজসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরাও এই সুবিধা পান। জেনে নিন কোন কোন চাকরি এবং আয়ের উৎস করমুক্ত।

ভারতে করমুক্ত চাকরি: ভারতে, বেশিরভাগ মানুষ তাদের চাকরি বা ব্যবসা থেকে উপার্জিত আয়ের উপর আয়কর প্রদান করে। সরকার মানুষের আয়ের ভিত্তিতে কর সংগ্রহের জন্য আয়ের বিভিন্ন স্তর নির্ধারণ করেছে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে সব চাকরি বা আয়ের উৎসের উপর কর লাগে না? এমন কিছু সরকারি পদ, চাকরি এবং আয়ের উৎস রয়েছে যা করমুক্ত।

এটি কেবল আর্থিক স্বস্তি প্রদানের একটি উপায় নয়, বরং মানুষ এবং কর্মচারীদের উৎসাহিত করার একটি মাধ্যমও বটে। এই নিবন্ধে, আমরা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করব কোন কোন চাকরি এবং আয়ের উৎস করমুক্ত।

সরকারি চাকরিতে কর অব্যাহতি

ভারতে, কিছু সরকারি পদ রয়েছে যেগুলির বেতন করমুক্ত। এই চাকরিগুলিতে প্রায়শই এমন ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত থাকেন যাদের বেতন সরকার দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং যাদের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই স্বস্তি দেওয়া হয়।

সরকারি কর্মচারীরা যে সকল ভাতা পান, যেমন হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স (HRA), ট্র্যাভেল অ্যালাউন্স এবং কিছু অন্যান্য ভাতা, করমুক্ত শ্রেণিতে পড়ে। এ ছাড়াও, কিছু বিশেষ সরকারি প্রকল্পে কর্মরত কর্মচারীরাও আয়কর থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন।

সরকারি চাকরিতে কর অব্যাহতি প্রদানের উদ্দেশ্য হল এটি নিশ্চিত করা যে কর্মচারীরা তাদের পরিশ্রমের সম্পূর্ণ সুবিধা পান এবং তাদের আর্থিক বোঝা থেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

বেসরকারি চাকরি এবং কিছু নির্দিষ্ট আয়ের উৎসের উপর কর অব্যাহতি

সরকারি চাকরি ছাড়াও, কিছু বেসরকারি চাকরি এবং আয়ের উৎসও করমুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ব্যবসা, কৃষি এবং কিছু ধরণের শিক্ষানবিশ ভাতা বা বৃত্তি থেকে প্রাপ্ত আয় করমুক্ত।

এনজিও বা সমাজসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরাও করের আওতার বাইরে থাকেন। এর উদ্দেশ্য হল সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা এবং তাদের করের বোঝা থেকে রক্ষা করা। উপরন্তু, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কোর্স বা বৃত্তির অধীনে অর্থ উপার্জন করেন, তবে সেগুলিও প্রায়শই করমুক্ত হয়। এই নিয়মটি শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের উৎসাহিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

কিছু চাকরি এবং আয়ের উৎসের উপর কর অব্যাহতি প্রদানের কারণ

কর অব্যাহতি প্রদানের পিছনে সরকারের উদ্দেশ্য কেবল আর্থিক স্বস্তি নয়। এটি সমাজের দুর্বল ও পরিশ্রমী শ্রেণীকে সমর্থন করার জন্যও।

  • সরকারি ভাতা এবং নির্ধারিত বেতন: সরকার তার কর্মচারীদের চাহিদা পূরণের জন্য পূর্ব-নির্ধারিত ভাতা প্রদান করে। তাই, তারা করের বোঝা বহন করে না।
  • সমাজসেবায় অবদান: যারা সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করেন বা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অবদান রাখেন, তাদের কর অব্যাহতি দেওয়া হয়।
  • শিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ: শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের প্রাপ্ত শিক্ষানবিশ ভাতা এবং বৃত্তি করমুক্ত। শিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করাই এর উদ্দেশ্য।
  • কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসা: কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত আয় করমুক্ত, যাতে কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা যায়।

কর নিয়মের পরিবর্তন এবং হালনাগাদ

ভারতে কর নিয়মে ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। তাই, প্রতিটি ব্যক্তির জন্য তাদের আয় এবং চাকরি অনুযায়ী হালনাগাদ নিয়মাবলী বোঝা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে, মানুষ তাদের আর্থিক পরিকল্পনা সহজেই পরিচালনা করতে পারে এবং করের বোঝা থেকে বাঁচতে পারে।

Leave a comment