থাইরয়েডে ভুগছেন ৩ খাবার থেকে দূরে থাকুন বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

থাইরয়েডে ভুগছেন ৩ খাবার থেকে দূরে থাকুন বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

থাইরয়েড সমস্যা জটিল কেন?

গলার কাছে ছোট্ট প্রজাপতির মতো দেখতে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড শরীরের নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্ল্যান্ডের হরমোনের ক্ষরণ কখনও অতিরিক্ত হলে তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম, আর প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে তাকে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম। এর ফলে শরীরে ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল ঝরে পড়া, এমনকি হৃদস্পন্দনের তারতম্য পর্যন্ত হতে পারে। তাই চিকিৎসকের ওষুধের পাশাপাশি খাবারের তালিকাতেও সচেতনতা জরুরি।

ওষুধে নয়, খাদ্যতালিকায়ও নজর দিন

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটের মাধ্যমে থাইরয়েডের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের। পুষ্টিবিদরা বলছেন, দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনা গেলে থাইরয়েড রোগীরা উপকার পেতে পারেন। কিছু খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে, না হলে ওষুধের প্রভাব কমে যেতে পারে।

সয়াজাত খাবারের বিপদ

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সয়াজাত খাবার থাইরয়েড রোগীদের জন্য ঝুঁকির কারণ। টোফু, সয়াবিন বা সয়া দুধ—এসব খাবার থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য আরও বিঘ্নিত হয়। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সয়াজাত খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে।

ক্রুসিফেরাস সব্জি নয়

বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, ওলকপি, কালে, শালগম—এসব সব্জি ক্রুসিফেরাস পরিবারের অন্তর্গত। গবেষণা বলছে, এই ধরনের সব্জি থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণে সরাসরি প্রভাব ফেলে। যারা নিয়মিত থাইরয়েডের ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের জন্য এই সব্জি আরও বিপজ্জনক হতে পারে। তাই এই তালিকার সব্জিগুলি এড়ানোই শ্রেয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্ষতি

আজকাল অনেকেই ঝটপট খাবারের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু প্যাকেটজাত প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে অতিরিক্ত লবণ, চিনি এবং নানা রাসায়নিক উপাদান। এগুলি শুধু থাইরয়েডের সমস্যাই বাড়ায় না, বরং ওষুধের কার্যকারিতাতেও বাধা সৃষ্টি করে। তাই বিশেষজ্ঞদের মত, যাঁরা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই বর্জন করা উচিত।

খাবারের সচেতনতাই সমাধান

থাইরয়েডের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, তবে সঠিক ওষুধ এবং সঠিক খাবার এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা এবং খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা—এই দুই মিলেই রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।

Leave a comment