থাইরয়েড ও সাদা চুল: সকালে তামার পাত্রের জল পান করুন, উপকার পাবেন

থাইরয়েড ও সাদা চুল: সকালে তামার পাত্রের জল পান করুন, উপকার পাবেন

তামার জল: সকালে খালি পেটে তামার পাত্রে রাখা জল পান করা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে বহু প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। এটি রক্তাল্পতা, থাইরয়েড ভারসাম্যহীনতা এবং চুলের অকাল সাদা হওয়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর জানান, তামার পাত্রে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান শরীরে আয়রনের শোষণ বাড়ায় এবং বিপাক সুস্থ রাখে। নিয়মিত এই অভ্যাস শরীরকে শক্তি ও সতেজতা দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখে তামার জল

আজকাল থাইরয়েড অনেক সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তামার পাত্রে রাখা জল থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি বিপাককে সুস্থ রাখে এবং শরীরের ভেতরের হরমোনাল ভারসাম্য কমাতে সহায়ক। নিয়মিত পান করলে থাইরয়েডজনিত দুর্বলতা ও ক্লান্তি কমে।

চুলের অকাল সাদা হওয়া রোধে সহায়ক

যদি চুল সময়ের আগে সাদা হয়ে যায়, তামার জল সাহায্য করতে পারে। তামা মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থ তৈরিতে সাহায্য করে, যা চুলের প্রাকৃতিক রঙ বজায় রাখে। নিয়মিত খেলে চুলের অকাল পাকা হওয়ার সমস্যা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়।

রক্তাল্পতা ও শক্তি বৃদ্ধি

যদি শরীরে রক্তের অভাব থাকে, তামার জল খুবই উপকারী। এটি আয়রনের শোষণ বাড়ায়, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে এবং রক্তাল্পতা কমায়। ফলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা কমে এবং পুরো দিন শরীর থাকে শক্তিশালী ও সতেজ।

পেট ও হজমের স্বাস্থ্য

তামার মধ্যে হালকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হজমতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এটি গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজম কমায়। পেট সুস্থ থাকলে পুরো শরীরের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

তামার জল তৈরি ও পান করার পদ্ধতি

রাতের ঘুমের আগে ২৫০–৩০০ মিলি জল তামার পাত্রে ভরে ঢেকে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করুন। দিনে বারবার পান করার প্রয়োজন নেই। পাত্রটি সর্বদা পরিষ্কার রাখুন; লেবু ও লবণ ব্যবহার করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

তামার জল পান করার প্রাচীন অভ্যাস থাইরয়েড, রক্তাল্পতা এবং চুলের অকাল সাদা হওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকর। এটি শরীরকে শক্তি, সতেজতা এবং হরমোনাল ভারসাম্য প্রদান করে। CTA: স্বাস্থ্য এবং আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন এবং সম্পূর্ণ রিপোর্ট পড়ুন।

Leave a comment