ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা: তৃতীয় দিনেও অব্যাহত, সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা: তৃতীয় দিনেও অব্যাহত, সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা

ইস্তাম্বুল, তুরস্কতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত ছিল। সীমান্তে সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং ড্রোন হামলার পর উত্তেজনা বেড়েছে। আলোচনায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে ঐকমত্য পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।

ওয়ার্ল্ড নিউজ: ইস্তাম্বুল, তুরস্কতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত ছিল। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সীমান্তে সহিংসতা এবং ড্রোন হামলার পর উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এই আলোচনার উদ্দেশ্য হল সীমান্ত বিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক দিন আগেই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এই সংকট "খুব দ্রুত" সমাধান করা হবে।

সীমান্তে সাম্প্রতিক সহিংসতা

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে গোলাগুলি ও বিমান হামলা পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। এই সহিংসতায় উভয় দেশের বেশ কয়েকজন সৈনিক ও নাগরিক নিহত হয়েছেন। কাতারের মধ্যস্থতায় প্রথম দফার আলোচনা হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ ১৯ অক্টোবর ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি (ceasefire) হয়। তা সত্ত্বেও সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা কমেনি।

এখনও কোনো চূড়ান্ত ফলাফল আসেনি

আফগান মিডিয়া জানিয়েছে যে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের মতে আলোচনা এখনও চলছে। পাকিস্তানের কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করেছেন যে আলোচনা চলছে, তবে আফগান প্রতিনিধিদল বারবার কাবুলের কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করছে। পাকিস্তান এখনও কোনো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়নি।

পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ ব্যর্থ করেছে

তুরস্কতে চলমান আলোচনার সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে তারা সীমান্ত পেরিয়ে দুটি বড় অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে এবং ২৫ জন চরমপন্থীকে হত্যা করেছে। এই সংঘর্ষে পাঁচজন পাকিস্তানি সৈনিকও শহীদ হয়েছেন। যদিও এই অঞ্চলে গণমাধ্যমের সংবাদ পরিবেশনের অনুমতি নেই, তাই এই দাবিগুলির স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

শান্তি প্রচেষ্টায় ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মালয়েশিয়ায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের সময় বলেন যে তিনি জানতে পেরেছেন যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান শান্তি প্রচেষ্টা শুরু করেছে। তিনি আশ্বাস দেন যে তিনি খুব দ্রুত এর সমাধান করবেন। তুরস্কের আতিথেয়তা এবং কাতারের মধ্যস্থতায় এই আলোচনা যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা এবং একটি ব্যাপক চুক্তিতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিরোধের কারণ

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগান তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে যে তারা পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের আফগান ভূমি ব্যবহার করে সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়। কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে। আলোচনার এই দফায় পাকিস্তানি কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া পাকিস্তানের জন্য অগ্রহণযোগ্য।

Leave a comment