উত্তর কোরিয়া পীত সাগর থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উল্লম্বভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে উড়ছিল। এই পদক্ষেপকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এশিয়া সফর এবং সম্ভাব্য আলোচনার ঠিক আগে একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ব সংবাদ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) দক্ষিণ কোরিয়া সফরের ঠিক আগে উত্তর কোরিয়া (North Korea) পীত সাগর (Yellow Sea) থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলি সমুদ্র থেকে উল্লম্বভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং দুই ঘণ্টা ধরে উড়ছিল। এই পরীক্ষাটি এমন সময়ে হয়েছে যখন ট্রাম্প এশিয়া-প্রশান্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতা (APEC) সম্মেলনে যোগ দিতে কোরিয়া অঞ্চলে আছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিবরণ
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কেসিএনএ’ (KCNA) অনুসারে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে উল্লম্বভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং প্রায় ৭,৮০০ সেকেন্ড ধরে নির্ধারিত পথে উড়েছিল। এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধ প্রতিরোধক (deterrent) ক্ষমতা যাচাই করা। সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা পাক জং চন এই পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং এটিকে পারমাণবিক ক্ষমতা (nuclear capability) বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

কিম জং উনের অনুপস্থিতি
অস্বাভাবিকভাবে এই পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন (Kim Jong Un) উপস্থিত ছিলেন না। সাধারণত তিনি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেন। গত সপ্তাহে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায়ও কিমের নাম সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এটি একটি কৌশলগত বার্তা এবং পরীক্ষাকে স্বাভাবিকভাবে উপস্থাপন করার একটি প্রচেষ্টা হতে পারে।
ট্রাম্প ও কিম জং-এর সম্ভাব্য আলোচনা
উল্লেখযোগ্য যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। ট্রাম্প টোকিও যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, যদি উত্তর কোরিয়ার নেতা সম্মত হন, তবে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। তিনি পিয়ংইয়ংয়ের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা (sanctions) শিথিল করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর আগে দুই নেতার শেষ সাক্ষাৎ ২০১৯ সালে ডিমিলিটারাইজড জোন (Demilitarized Zone - DMZ)-এ হয়েছিল।













