दुर्লভ মৃত্তিকা চুম্বকের সরবরাহ বন্ধ করলে চীনের উপর 200% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, চীনের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার মতো অনেক বিকল্প তার কাছে রয়েছে।
Trump Tariff: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে চীন সম্পর্কে বড় মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, তার কাছে এমন কিছু তাস রয়েছে, যা তিনি চাইলে চীনকে ধ্বংস করতে ব্যবহার করতে পারেন, তবে তিনি তা করবেন না। ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, যদি চীন আমেরিকাকে তাদের রেয়ার আর্থ ম্যাগনেটের সরবরাহ না দেয়, তবে তার উপর 200 শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সামনে চীনের প্রতি কড়া বার্তা
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং ট্রাম্পের পাশে বসে ছিলেন এবং দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এই উপলক্ষে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে তার কৌশল স্পষ্ট করেন এবং বলেন যে তার কাছে অনেক গোপন অস্ত্র রয়েছে। যদি তিনি সেগুলি ব্যবহার করেন, তবে চীনের বড় ক্ষতি হতে পারে। যদিও তিনি এও বলেন যে আমেরিকা চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়, তবে নিজের স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
दुर्লভ মৃত্তিকা চুম্বক নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা
ট্রাম্প যে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেটের কথা উল্লেখ করেছেন, তা আধুনিক প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য খুবই জরুরি। এটি বৈদ্যুতিক গাড়ির মোটর, বায়ু শক্তি টারবাইন, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার চিপস এবং মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমেও ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের প্রায় 90 শতাংশ রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদন করে চীন এবং এটাই কারণ যে আমেরিকা তার সরবরাহের উপর নির্ভরশীল। গত কয়েক মাসে চীন এটির রপ্তানি বন্ধ করে আমেরিকার উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। এতে মার্কিন শিল্পে প্রভাব পড়ছে এবং ট্রাম্প এখন এই ইস্যুতে চীনকে মোকাবিলার কৌশল নিয়েছেন।
শুল্ককে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বললেন ট্রাম্প
ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, যদি চীন রেয়ার আর্থের সরবরাহ না দেয়, তবে আমেরিকার কাছে শুল্কের অস্ত্র রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন যে 100 শতাংশ থেকে 200 শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, যদি এমনটা করতে হয় তবে আমেরিকার কোনো ক্ষতি হবে না, তবে চীনের অর্থনীতিতে এর গুরুতর প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন যে আমেরিকা অন্যান্য দেশ থেকে সরবরাহ নিয়ে তার চাহিদা পূরণ করতে পারে, তবে চীনকে এই বিষয়ে নতি স্বীকার করতেই হবে।
বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি
আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ নতুন কিছু নয়। আমেরিকা নিরাপত্তা, প্রযুক্তি চুরি এবং মাদক চোরাচালানের মতো অভিযোগে চীনের উপর শুল্ক আরোপ করা শুরু করেছিল। এর পরে চীনও মার্কিন পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে আমেরিকা চীন থেকে আসা বেশিরভাগ পণ্যের উপর গড়ে 145 শতাংশ শুল্ক আদায় করছে, যেখানে চীন মার্কিন পণ্যের উপর 125 শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক লাগিয়েছে। এর প্রভাব শুধু দুই দেশের অর্থনীতিতে নয়, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলেও দেখা যাচ্ছে।
ট্রাম্পের শর্ত কী ছিল
ট্রাম্প চীনের কাছে স্পষ্ট শর্ত রাখেন যে, যদি তারা আমেরিকাকে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেটের সরবরাহ না করে, তবে শুল্ক বাড়াতেই হবে। তিনি আরও বলেন যে আমেরিকার কাছে অনেক বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যান্য দেশ থেকে রেয়ার আর্থের সরবরাহ নিয়ে আমেরিকা তার নির্ভরতা কম করবে এবং ভবিষ্যতে এত স্টক থাকবে যে ঘাটতির প্রশ্নই উঠবে না। ট্রাম্প মনে করেন, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কারণ আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা এই ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নেননি। এখন তিনি এটি পরিবর্তন করতে প্রস্তুত।