উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার গঙ্গাঘাট এলাকায় দুই পক্ষের বিবাদের মধ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় দশ বছর বয়সী অজিত নিহত হয়েছে। শিশুটি কেবল বিবাদ দেখতে গিয়েছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
উন্নাও: উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার গঙ্গাঘাট থানা এলাকায় একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। গগনি খেড়া গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে চলা বিবাদের সময় গুলি চালায়, তাতে দশ বছর বয়সী অজিত নামের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি গোটা গ্রামে শোক ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, নিহত শিশুটি কোনো পক্ষের সাথে যুক্ত ছিল না এবং সে কেবল বিবাদ দেখতে বাইরে গিয়েছিল। এই সময়ে সে গুলির শিকার হয়। ঘটনার পর শিশুটির পরিবার সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এবং কান্নাকাটি করছে।
গ্রামে বিবাদ ও গুলি চালানোর ঘটনা
গগনি খেড়া গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। উভয় পক্ষ গত এক সপ্তাহ ধরে বিবাদ করছিল। রবিবার রাতে এক পক্ষ অন্য পক্ষের বাড়িতে পৌঁছে গুলি চালাতে শুরু করে।
নিহত অজিতের বাবা সোনু জানিয়েছেন যে তাদের সন্তান এই বিবাদের কোনো পক্ষের অংশ ছিল না। অজিত কেবল গুলি দেখতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল এবং তখনই একটি গুলি এসে তাকে লাগে। সোনু বলেন যে তাদের পরিবার এই বিবাদে জড়িত ছিল না, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের ছেলে এর শিকার হয়েছে।
পুলিশের তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ
ঘটনার খবর পেয়ে এসপি দীপক ভুকর ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এসপি জানিয়েছেন যে দুই পক্ষের মধ্যে চলা বিবাদের কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এফএসএল দল ও অন্যান্য বিভাগও ঘটনার তদন্তে জড়িত। এসপি আরও জানান যে ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গুলি চালানোর সময় অজিত নির্দোষ ছিল এবং কোনো পক্ষের সাথে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তদন্তে সমস্ত স্থানীয় সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হচ্ছে যাতে সত্য সামনে আসে এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া যায়।
পরিবার ও গ্রামবাসীদের ন্যায়বিচারের দাবি
ঘটনার পর গ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় শোক ও ক্ষোভের পরিবেশ বিরাজ করছে। নিহত অজিতের পরিবার সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। গ্রামবাসীদের মতে, এই ধরনের বিবাদ ও অস্ত্রের ব্যবহার নিরীহ মানুষের জীবনকে সবসময় বিপদে ফেলে।
অজিতের বাবা সোনু সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে তাদের পরিবার এই বিবাদে জড়িত ছিল না, কিন্তু তাদের এই নিষ্পাপ শিশু এই হিংসার শিকার হয়েছে। পরিবার ও গ্রামবাসী উভয়ই ন্যায়বিচারের আশা করছে এবং চায় যে দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক।