উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের অনলাইন উপস্থিতি খুব কম নথিভুক্ত হচ্ছে।
রাজ্যে প্রায় ১,৩২,৬৪৩টি স্কুলে কর্মরত প্রায় ৬,১২,৬৪২ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রথম শিফটে মাত্র ৯৩ জন এবং দ্বিতীয় শিফটে ৫৮ জন শিক্ষক অনলাইন উপস্থিতি নথিভুক্ত করেছেন — অর্থাৎ প্রায় ০.০১% এরও কম।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা ভালো: রাজ্য জুড়ে প্রায় ১,২৮,৯৮,৩৮৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১,৬৫,১৩৮ জন (প্রায় ১৬.৭৯%) উপস্থিত ছিল।
প্রয়াগরাজ মণ্ডল এই বিষয়ে ভালো পারফর্ম করছে: এখানে শিক্ষার্থীদের অনলাইন উপস্থিতি প্রায় ৭৭.২৮% পর্যন্ত ছিল যখন রাজ্যের অন্যান্য অনেক মণ্ডলে এটি খুব কম ছিল। শিক্ষকদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য বিভাগ ট্যাবলেট ও সিমকার্ড সরবরাহ করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
বিশ্লেষণ
এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত করে যে পরিদর্শন এবং পঠন-পাঠন নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি করা অনলাইন উপস্থিতি পদ্ধতিতে শিক্ষকরা সঠিকভাবে অংশগ্রহণ করছেন না।
শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো, কিন্তু শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ব্যাপক ঘাটতি এই ইঙ্গিত দেয় যে স্কুলগুলিতে শিক্ষক-অংশগ্রহণ বা পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট নয়।
প্রয়াগরাজ মণ্ডলের মতো ভালো পারফর্ম করা অঞ্চলগুলি থেকে এই উদাহরণ পাওয়া যায় যে উন্নতি সম্ভব — কিন্তু অন্যান্য মণ্ডলগুলি এর থেকে অনেক পিছিয়ে আছে।
সরঞ্জাম (ট্যাবলেট/সিম) সরবরাহ করার ইঙ্গিত ইতিবাচক, তবে এটি দেখতে হবে যে এগুলি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং শিক্ষকরা কতটা তাদের গ্রহণ করছেন।
পরামর্শ
বিভাগের উচিত প্রণোদনা-ব্যবস্থা (incentives) এবং সচেতনতা অভিযান চালানো যাতে শিক্ষকরা অনলাইন উপস্থিতিটিকে গুরুত্ব সহকারে নেন।
প্রযুক্তিগত সুবিধা (ট্যাবলেট, ইন্টারনেট) নিশ্চিত করা জরুরি — কারণ উপস্থিতি না থাকার একটি কারণ প্রযুক্তিগত বাধাও হতে পারে।