ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে কোন মাছ? সতর্ক থাকুন ডায়েটে

ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে কোন মাছ? সতর্ক থাকুন ডায়েটে

কি ঘটেছে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য সতর্কবার্তা।কোথায় প্রধানত ভারতীয় বাজারের মাছ ও সামুদ্রিক মাছের ক্ষেত্রে।কবে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী।কারা পুষ্টিবিদ ক‍্যাথরিন ম‍্যারেগ্নো ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।কেন কিছু মাছের উচ্চ পিউরিন কনটেন্ট ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়, যা গাউট ও কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুষ্টিবিদরা বিশেষ কিছু মাছ খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। স্যামন, টুনার ও সামুদ্রিক মাছ বেশি পিউরিন থাকার কারণে এই সমস্যা বাড়াতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড কী ও কেন গুরুত্বপূর্ণ

ইউরিক অ্যাসিড হল রক্তে প্রাকৃতিকভাবে থাকা এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর, গাউট, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ এবং ডায়াবেটিস-স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মতোই ইউরিক অ্যাসিডও আজকের দিনে এক সাধারণ সমস্যা। তাই নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

কোন মাছ ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়?

বাঙালির প্রিয় মাছ—ইলিশ, ভেটকি, রুই, কাতলা—সাধারণত প্রোটিনের ভালো উৎস। তবে সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনার বা বড় সামুদ্রিক মাছের ক্ষেত্রে পিউরিনের পরিমাণ অনেক বেশি।পুষ্টিবিদ ক‍্যাথরিন ম‍্যারেগ্নো জানাচ্ছেন, এই ধরনের মাছ খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গাউট বা কিডনির রোগে আক্রান্তদের এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

কীভাবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করবেন

 মাছের নির্বাচন: উচ্চ পিউরিনযুক্ত মাছ কম খাওয়া।

পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ: মাছ খাওয়ার সময় দিনের প্রোটিনের মাত্রা সীমিত রাখা।

পানি পান করা: পর্যাপ্ত জল পানে কিডনির পাথর ও ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রোটিনের বিকল্প উৎস

যারা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তারা ডিম, হালকা মাছ বা শাক-সবজি থেকে প্রোটিন নিতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যকর ডায়েট বজায় থাকে এবং ইউরিক অ্যাসিড কম থাকে।

সতর্কবার্তা ও পরামর্শ

যদি গাউট, কিডনি বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনলাইনে বা সাধারণ ওয়েবসাইটের তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য, চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।সব মিলিয়ে, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা জীবনের জন্য জরুরি। স্যামন, টুনার ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বেশি খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। স্বাস্থ্য সচেতনরা এবার থেকে মাছ বেছে খাওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হবেন।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়তে পারে কিছু ধরনের সামুদ্রিক মাছ খেলে। বিশেষ করে স্যামন ও টুনার মাছ বেশি পিউরিন থাকার কারণে গাউট ও কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পুষ্টিবিদ ক‍্যাথরিন ম‍্যারেগ্নো অনুযায়ী, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে এসব মাছ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

Leave a comment