উত্তরপ্রদেশে কৃষি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি: যোগী সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ

উত্তরপ্রদেশে কৃষি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি: যোগী সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ

উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার রাজ্যের লক্ষ লক্ষ খেতমজুর এবং কৃষিকাজ-ভিত্তিক শ্রমিকদের স্বস্তি দিয়ে ন্যূনতম মজুরি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছে। এখন থেকে রাজ্যে কৃষি শ্রমিকরা প্রতিদিন ২৫২ টাকা এবং মাসে কমপক্ষে ৬,৫৫২ টাকা মজুরি পাবেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রথাগত কৃষিকাজের পাশাপাশি পশুপালন, মৌমাছি পালন, হাঁস-মুরগি পালন এবং মাশরুম উৎপাদন-এর মতো কৃষিকাজ-ভিত্তিক ক্ষেত্রগুলিতে কর্মরত শ্রমিকরা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং জীবনধারণের ক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

প্রত্যেক কৃষি কাজে প্রযোজ্য হবে নতুন হার

শ্রম ও কর্মসংস্থান বিভাগের প্রধান সচিব ডঃ এম.কে. শানমুগা সুন্দরম জানিয়েছেন, এই নতুন মজুরির হার প্রথাগত চাষাবাদ, ফসল কাটা-বোওয়া, প্যাকিং থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। শুধু তাই নয়, সরকার এটিও নিশ্চিত করেছে যে মজুরি যেন নির্ধারিত হারের থেকে কম না হয়, তা সে নগদেই হোক, কৃষিজ পণ্যের মাধ্যমেই হোক অথবা ডিজিটাল মাধ্যমেই হোক।

এর পাশাপাশি প্রতি ঘণ্টার মজুরি দৈনিক মজুরির ষষ্ঠাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে স্বল্পমেয়াদী এবং অস্থায়ী শ্রমিকরাও সমানভাবে উপকৃত হবেন। একইসঙ্গে, ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে সরকার গ্রামীণ অর্থনীতির স্বচ্ছতা এবং প্রযুক্তিগত অন্তর্ভুক্তিও নিশ্চিত করতে চায়।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বার্তা

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই সিদ্ধান্তকে শ্রমিকদের কল্যাণের দিকে নেওয়া একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার সবসময় শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করা। এর আগে ই-শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে কোটি কোটি অসংগঠিত শ্রমিককে সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে এবং এখন এই নতুন নীতি সেই দিকে আরও একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ।

মুখ্যমন্ত্রী এও স্পষ্ট করেছেন যে যদি কোনও শ্রমিক আগে থেকেই ২৫২ টাকার বেশি রোজগার করেন, তবে তাঁর বেতন একই থাকবে। সরকার চায় গ্রামীণ এলাকার শ্রমিকরা শুধু ভালো মজুরিই পাক না, তাঁদের জীবনে যেন আত্মনির্ভরতা এবং সম্মানও বজায় থাকে।

নতুন নীতি থেকে তৈরি হবে আত্মনির্ভর এবং সমৃদ্ধ উত্তরপ্রদেশ

সরকারের এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র মজুরির হারে পরিবর্তন নয়, বরং প্রদেশের শ্রম নীতিতে একটি ইতিবাচক এবং বিপ্লবী পরিবর্তনের ইঙ্গিত। এটি "সবকা সাথ, সবকা বিকাশ" (সকলের সাথে, সকলের উন্নয়ন) -এর স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলবে এবং গ্রামীণ ভারতের নির্মাণে একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে শুধু শ্রমিকদের আয়ই বাড়বে না, বরং প্রদেশ কৃষি এবং শ্রম কল্যাণে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।

Leave a comment