রায়বেরেলী বৈঠকে রাহুল গান্ধী ও দীনেশ প্রতাপ সিংয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। अमेठी সাংসদ কেএল শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও ভাইরাল। বৈঠকে 'দিশা' ও উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় এই বাক্যবিনিময় শুরু হয়।
উত্তরপ্রদেশ সংবাদ: উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলীতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও যোগী সরকারের মন্ত্রী দীনেশ প্রতাপ সিংয়ের মধ্যে একটি তুমুল বাক্যবিনিময়ের ভিডিও সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটে রাহুল গান্ধীর রায়বেরেলী সফরের সময়। রাহুল গান্ধী ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর রায়বেরেলী সফরে এসেছিলেন। এই সময়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় ওThe মনিটরিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বৈঠকের সময় বাক্যবিনিময়ের কারণ
বৈঠকের সময় রাহুল গান্ধী ও দীনেশ প্রতাপ সিংয়ের বাক্যবিনিময়ের প্রধান কারণ ছিল বৈঠকের পরিচালনা এবং আলোচনার ক্রম। রাহুল গান্ধী বৈঠকে বলেন যে তিনি বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন এবং যদি মন্ত্রী দীনেশ প্রতাপ সিংয়ের কিছু বলার থাকে, তবে তাঁর উচিত আগে অনুমতি চাওয়া।
এরপরেই দীনেশ প্রতাপ সিং ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন যে, "আপনি সভাপতি অবশ্যই, কিন্তু আমি আপনার প্রতিটি কথা মানতে বাধ্য নই। আপনি তো নিজেই স্পিকারের কথাও শোনেন না।" এরপর দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত আধিকারিক ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও অবাক হয়ে যান।
অমেठी সাংসদ কেএল শর্মাও উপস্থিত
বৈঠকে অমেठी-র সাংসদ কেএল শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে তিনিও রাহুল গান্ধী ও দীনেশ প্রতাপ সিংয়ের মধ্যেকার বাক্যবিনিময়ে জড়িত ছিলেন। বৈঠকে 'দিশা'-র কাজের ক্ষেত্র ও উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। রাহুল গান্ধী একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন যে, তাঁর উচিত ছিল আগে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা। এই ব্যাপারেই দীনেশ প্রতাপ সিং আপত্তি জানান এবং বাক্যবিনিময় শুরু হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল
এই পুরো ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে দেখানো হয়েছে কিভাবে রাজনৈতিক নেতারা বৈঠকে তুমুল তর্ক করছেন এবং এতে উপস্থিত আধিকারিকরাও অস্বস্তিবোধ করছেন।
দীনেশ প্রতাপ সিংয়ের রাজনৈতিক ইতিহাস
দীনেশ প্রতাপ সিং ২০১৮ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। তাঁকে ২০১০ ও ২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধান পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার গঠনের পর তিনি দল পরিবর্তন করেন এবং ২০১৮ সালে বিজেপি-তে যোগ দেন। ২০১৯ সালে তিনি সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে রায়বেরেলী থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, কিন্তু পরাজিত হন। ২০২৪ সালেও একই আসনে তাঁকে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে পরাজিত হতে হয়।