উত্তর প্রদেশে নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এর জাতীয় সভাপতি অখিলেশ যাদব সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তিনটি খবরের কাটিং শেয়ার করেছেন এবং রাজ্যের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের সমালোচনা করেছেন।
লখনউ: সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি এবং উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ তিনটি খবরের কাটিং শেয়ার করে রাজ্যের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের সমালোচনা করেছেন। কনৌজ সাংসদ তাঁর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "নাম এক, নিয়োগ অনেক! নিয়োগের কাজও কি 'জুয়াড় আয়োগ' করছে?"
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে আলোচনা চলছে যে অখিলেশ যাদব যে তিনটি খবরের কাটিং শেয়ার করেছেন, সেগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে এই নিয়োগগুলি ২০১৬ সালে করা হয়েছিল।
অখিলেশ যাদবের অভিযোগ
কনৌজের সাংসদ তাঁর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "নাম এক, নিয়োগ অনেক! নিয়োগের কাজও কি 'জুয়াড় আয়োগ' করছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আলোচনা দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে যে অখিলেশ যাদব দ্বারা শেয়ার করা খবরের কাটিংগুলিতে উল্লিখিত নিয়োগগুলি ২০১৬ সালের বলে জানানো হয়েছে। সেই সময় উত্তর প্রদেশে ১১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত এসপি-র সরকার ছিল। অখিলেশের শেয়ার করা স্ক্রিনশট এবং খবরগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে अर्पित সিং নামের এক ব্যক্তির নামে ছয়টি ভিন্ন নিয়োগ চলছিল।
হিন্দি সংবাদপত্র অমর উজালা-র প্রতিবেদন অনুসারে, अर्पित সিং, পুত্র অনিল কুমার সিং (জন্ম - ১২ জুন ১৯৮৯, প্রতাপনগর, শাহগঞ্জ, আগ্রা) কে ২৫ মে ২০১৬ থেকে ১ আগস্ট ২০১৬ এর মধ্যে ছয়টি ভিন্ন স্থানে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই নিয়োগগুলির ক্রম ছিল নিম্নরূপ:
- ২৫ মে ২০১৬ – ফররুখাবাদ, শামসাবাদ
- ৩১ মে ২০১৬ – সিএইচসি মুরসান, হাতরাস
- ৮ জুন ২০১৬ – বিলাসপুর, রামপুর
- ১২ জুলাই ২০১৬ – বিসौली, বদাউন
- ২৫ জুলাই ২০১৬ – নারায়ণী, বান্দা
- ১ আগস্ট ২০১৬ – পচপেড়ওয়া, বলরামপুর
বর্তমানে अर्पित মুরসান-এ কর্মরত আছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে এই ব্যক্তির নিয়োগে পারিবারিক সুবিধা এবং দুর্নীতি জড়িত ছিল।
যোগী সরকারের প্রতিক্রিয়া
এই বিষয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোমবার কোনো নাম উল্লেখ না করে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, "এক ব্যক্তি ৮টি জায়গায় নাম লিখিয়ে টাকা নিচ্ছিলেন। তদন্ত হলে এটি সামনে আসে। এরাই সেইসব লোক যারা পরিবারের জন্য টাকা নিয়ে নিয়োগ করাচ্ছিল। এটি ২০১৬ সালের নিয়োগের ঘটনা। আমরা তদন্ত করিয়েছি এবং এটি এখনও চলছে।"
যদি সময়মতো তদন্ত শেষ হয়, তবে অনেক লোক যারা উত্তর প্রদেশের ক্ষতি করেছে, তারা তাদের জীবনের বাকি অংশ জেলে কাটাতে পারে। যোগী আদিত্যনাথের এই बयान থেকে স্পষ্ট যে তাঁর সরকার দুর্নীতি এবং অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণভাবে ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।